বাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ গোটা বিশ্বে অনেক বদল এনেছে। এই ভাইরাসের কারণে অনেক মানুষকেই কাজ ছাড়া হতে হয়েছে। আর এই কারণে বেশীরভাগ মানুষ ব্যাপক খাদ্য সঙ্কটে ভুগছে। যদিও এই সঙ্কটের সামনে কিছু কিছু মানুষ গরিবদের জন্য দেবদূত হয়ে উঠে এসেছেন। এদের মধ্যেই একজন হলে হায়দ্রাবাদের বাসিন্দা রামু ডোসাপটি (Ramu Dosapati)। তিনি গরিবদের জন্য রাইস এটিএম (Rice ATM) চালান। এই এটিএম গরিব আর অসহায়দের সমস্ত জরুরী সামগ্রী উপলব্ধ করায়।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, রামু ডোসাপটির রাইস এটিএম দিনে ২৪ ঘণ্টাই চলে। গরিব আর অসহায়রা এই এটিএমের মাধ্যমে সমস্ত জরুরী সামগ্রী পেয়ে যায়। কোনও গরিব অসহায় মানুষের কাছে যদি খাবারের জন্য কিছু না থাকে, তাহলে তাঁরা রামুর বাড়িতে গিয়েও খাদ্য সামগ্রী নিয়ে আসতে পারে। লকডাউন থেকেই রামু মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে চলেছে। সেই লকডাউন থেকে টানা এই ধরে এই কাজ করে আসছে সে।
রামু জানান, এখনো পর্যন্ত সে ৫০ লক্ষ টাকা নিজের পকেট থেকে খরচ করেছে আর সেই টাকা ফেরত পাওয়ার কোনও ইচ্ছে নেই তার। রামু গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করেছে আর একটি সফটওয়্যার ফার্মে এইচআর ম্যানেজার। রামু একটি সিকিউরিটি গার্ডের কাছ থেকে এই কাজ করার অনুপ্রেরণা পেয়েছে। ওই সিকিউরিটি গার্ডকে মানুষের সাহাজ্য করতে দেখে রামু এই কাজ করা শুরু করে।
রামু প্রথমে দেড় লক্ষ টাকা নিয়ে এই কাজ শুরু করে। মানুষ রামুর রাইস এটিমের কথা জানতে পেরে তার কাছে এসে ভিড় জমাতে থাকে। আর তার সেই টাকা কিছুদিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। রামু বলেন, আমার সমস্ত টাকা আর রেশন শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমি দোকানে যাই আর আরও খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার কথা বলি। আমি তাকে এও বলি যে, চিন্তা করবেন না আমি নিজের প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে টাকা তুলে সমস্ত টাকা শোধ করে দেব।
রামু আপাতত নিজের স্ত্রী আর দুই ছেলের সাথে 1 BHK ফ্ল্যাটে থাকে। সে নিজের সন্তানদের জন্য ৩ বিএইচকে ফ্ল্যাট কিনতে চেয়েছিল। কারণ তার দুই ছেলে আলাদা রুম চাইত। রামু বলেন, আমি এরজন্য নিজের গ্রামের জমি ৩৮.৫ লক্ষে বিক্রি করে দিই আর একটি ৩ বিএইচকে ফ্ল্যাট কিনি।