বাংলাহান্ট ডেস্ক : ফের মালদহে দুটি পৃথক খুনের ঘটনা। ওল্ড মালদহের নায়ায়ণপুর শিল্পাঞ্চল এলাকার একটি ইটভাটা থেকে শুক্রবার উদ্ধার হল এক আদিবাসী নাবালিকার দেহ। মাথা থেঁতলানো ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার ঘিরে এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। একই সাথে বৈষ্ণবনগর থানার দুই শত বিঘি এলাকার একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে উদ্ধার হল বছর পঁয়ত্রিশের এক মহিলার মৃতদেহ।
ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে দুই ক্ষেত্রেই। দুটি দেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই দুটি ঘটনার এখনো পর্যন্ত কোনো কিনারা হয়নি। ওল্ড মালদহে নৃশংসভাবে মাথা থেঁতলিয়ে এক আদিবাসী নাবালিকাকে খুন করা হয়েছে। নবম শ্রেণীর আদিবাসী নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার হয় ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের বিষণপুরের একটি পরিত্যক্ত ইটভাটা থেকে।
আরোও পড়ুন : এক ছবিতেই মোটা অঙ্কের লক্ষ্মীলাভ! আলিবাগে চাষের জমি কিনতে খরচ করলেন কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা
স্থানীয় বাসিন্দারা এই মৃতদেহটি লক্ষ্য করেন শুক্রবার সন্ধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাদনা পরব উৎসবে গিয়েছিল ১৩ বছরের এই নাবালিকা। তারপরেই এই ঘটনা ঘটেছে। খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ধর্ষণ করার পর ওই নাবালিকাকে খুন করা হয়েছে।
আরোও পড়ুন : আবার বন্ধ থাকতে চলেছে কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ এই সেতু! বিকল্প রুটের সন্ধান দিল পুলিশ
অন্যদিকে, এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বৈষ্ণবনগর থানার চরি-অনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই শত বিঘি গ্রামে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ভুট্টা ক্ষেত থেকে ওই মহিলার গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতা মহিলার নাম মৌসুমী মণ্ডল (৩৫)। মৌসুমী মণ্ডলের সাথে বহুদিন আগে বিয়ে হয় এলাকারই বাসিন্দা অজিত মণ্ডলের।
দুই সন্তান রয়েছে তাদের। চারদিন আগে মৌসুমী দেবী বাপের বাড়ি যাওয়ার নাম করে শশুর বাড়ি থেকে বের হন। তারপর থেকে কোনও সন্ধান ছিল না তার। এরপর শুক্রবার সন্ধ্যায় ভুট্টা ক্ষেত থেকে মৌসুমী দেবীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে অনুমান মৌসুমী দেবীকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।