বাংলা হান্ট ডেস্ক : সত্যি বিপদে আপদে যিনি কোনও ব্যক্তির পাশে দাঁড়ান তিনিই হলেন প্রকৃত বন্ধু। আর সেই প্রকৃত বন্ধুকে কখনও ভুলে যাওয়া উচিত নয় বড় তামার সঠিক কদর করা উচিত। তবে আজকের দিনে বন্ধুত্বের দাম কে দেয়? তার উপরে আবার রতন টাটা! শুনলে কেমন আশ্চর্যজনক মনে হয় না? একেবারেই ঠিক তবে আশ্চর্য মনে হলেও এমন কাণ্ডই ঘটল। যদিও রতন টাটার নিজের জন্য নয় রাস্তার কুকুরের জন্য এমন এক নজিরবিহীন ঘটনা ঘটিয়েছিলেন মুম্বইয়ের যুবক শান্তনু নাইডুও।
পাঁচ বছর আগেই কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে যাওয়া একটি কুকুরের দেহ দেখে রীতিমতো মন কেড়েছিল ওই যুবকের তার পরেই রাস্তার কুকুরদের পথ দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচাতে নিয়ন স্ট্র্যাপ পুড়িয়ে দেওয়ার কথা ভাবেন শান্তনু।যাতে পথ কুকুরদের দূর থেকে দেখলেই গাড়ির আলো বুঝতে পারে এবং এতেই পথ দুর্ঘটনার হাত থেকে পথ কুকুরদের প্রাণ বাঁচানো যাবে।
শান্তনুর পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর কয়েকজন বন্ধু বেশ কয়েকটি কুকুরের গলায় নিয়ম স্ট্র্যাপ পরিয়ে দেন, আর এভাবেই সংবাদের শিরোনামে উঠে আসেন তিনি। খবরটি প্রকাশিত হয়েছিল টাটা গ্রুপের নিউজ লেটারে । কিন্তু এত পথ কুকুরের নিয়ন স্ট্র্যাপ কেনা বাইশ বছরের সদ্য চাকরি পাওয়া শান্তনুর পক্ষেই সম্ভব ছিল না তাই বাধ্য হয়ে টাটা গ্রুপের কর্ণধার রতন টাটাকে চিঠি লেখেন শান্তর যদিও মাস দুয়েক পরে শান্তনুর ডাক পড়ে
শান্তনুর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে আর্থিক সাহায্য করা হয় টাটা পরিবারের পক্ষে এবং মন ছুঁয়ে যায় রতন টাটার আর তার পর থেকেই দুই ভিন্ন পথের মানুষ রতন টাটা এবং সন্তানের মধ্যে এক গভীর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। যদিও মাঝে খুব বেশি যোগাযোগ হয়নি তবে হাজার ব্যস্ততার মধ্যে শান্তনুর এই মানবিকতা ছুঁয়ে গিয়েছিল রতন টাটাকেই তাই পাঁচ বছর পর সেই গভীর বন্ধুত্বের সম্পর্কের যে চাকরির প্রস্তাব দিলেন রতন টাটা।
সম্প্রতি নিজের ফেসবুক পোস্টে শান্তর তাঁকে রতন টাটার অফিসের সহকারী হিসেবে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানান। যদিও রতন টাটার কাছ থেকে এই প্রস্তাব পেয়ে যথেষ্টই খুশি শান্তনু। শান্তনুর এই খবর পোস্ট হওয়ার পর থেকে খুশি দেশবাসী ও। দুই অসমবয়সী মানুষের বন্ধুত্ব যে কতটা গভীর হতে পারে তা কার্যত প্রমাণ করে দিলেন রতন টাটার এই নজির।