বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রেশন দুর্নীতি নিয়ে বর্তমানে তোলপাড়। গত অক্টোবর মাসে রেশন দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) তথা বালুকে গ্রেফতার করে ইডি (Enforcement Directorates)। আর মন্ত্রীর সূত্র ধরেই সম্প্রতি ইডির জালে জড়িয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ শঙ্কর আঢ্য (Bangaon Municipality former chairman Shankar Adhya)। যদিও মন্ত্রীর সাথেও ঘনিষ্ঠতার তত্ত্ব নাকজ করেছেন সদ্য ধৃত শঙ্কর। ইডি সূত্রে খবর, এই শঙ্কর আঢ্যর সংস্থা ‘আঢ্য ফরেক্স প্রাইভেট লিমিটেডের’ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। রবিবার এই বিপুল পরিমাণ টাকার উৎস নিয়ে মুখ খুললেন শঙ্কর।
বর্তমানে ইডি হেফাজতে রয়েছেন শঙ্কর। আদালতের নির্দেশ মত রবিবারক তাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিআরসিং হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেই সময় সেই সময় তার অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ টাকার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমাদের ব্যবসায় এটা হয়ে থাকে।”
মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার কথায়, বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন ব্যবসায়ে বিপুল পরিমাণ টাকার লেনদেন হয়েই থাকে। এই টাকার বিষয়ে দল কিছু জানে কিনা সেই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অবশ্য তৃণমূল নেতা বলেন, দল এই বিষয়ে কিছু জানে না।
আরও পড়ুন: ধামাকা! লোকসভার আগেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ও বার্ধক্য ভাতা বড় ঘোষণা মমতার, খুশিতে আত্মহারা সকলে
ইডি সূত্রে খবর, বিপুল পরিমাণ এই টাকার উৎস সম্পর্কে সঠিকভাবে কিছু জানাতে পারেননি শঙ্করবাবু। ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট অর্থাৎ FEMA আইন অনুযায়ী, বৈদেশিক মুদ্রা কনভার্ট করলে, পাসপোর্টের তথ্য বা ভ্রমণকারীর তথ্য জমা করতে হয়। তবে শঙ্কর আঢ্য আইন ভঙ্গ করে এই সব কোনও কিছুর উল্লেখ না করেই বিদেশি মুদ্রায় পরিবর্তন করেন বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। ইতিমধ্যেই ‘FEMA’ আইনে শঙ্কর আঢ্যর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে ইডি।
পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ইডির অনুমান এই বিপুল টাকা রেশন দুর্নীতির টাকা। ইডি সূত্রে খবর, খাতায় কলমে আঢ্য ফরেক্সের ডিরেক্টর পদে রয়েছেন শঙ্করের ভাই মলয় আঢ্য, ও তার আশি বছর বয়সী মা শিবানি আঢ্য। তবে সংস্থার কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি জানতে পেরেছে, শঙ্কর আঢ্যই এই এই কোম্পানি চালান।