বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রেশন বন্টন দুর্নীতি (Ration Scam) নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। প্রথমে ব্যবসায়ী বাকিবুর আর তারপর তার সূত্র ধরে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) ইডির জালে। আর এই জ্যোতিপ্রিয়বাবু ওরফে বালুকে গ্রেফতারির পর থেকেই একের পর এক বিস্ফোরক সব তথ্য ইডির হাতে।
রাজ্যের প্রভাবশালী মন্ত্রীকে গ্রেফতারির পর থেকেই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে ইডি। তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, একাধিক শেল কোম্পানির মাধ্যমে রেশনের টাকা নয়-ছয় করা হয়েছে। দুর্নীতির টাকা পাচারে একের পর এক ভুয়ো কোম্পানির নাম সামনে এসেছে।
প্রাথমিকভাবে এইরকম ৩টি ভুয়ো কোম্পানিকে চিহ্নিত করেছিলেন গোয়েন্দারা। তবে এদিন যা তথ্য সামনে এসেছে তাতে মাথায় হাত খোদ ইডি গোয়েন্দাদের। রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করতে কাজে লাগানো হয়েছে এরকম আরও ১০ টি ভুয়ো সংস্থার হদিস পেয়েছে ইডি।
আরও পড়ুন: রেডি রাখুন ছাতা! একটু পরেই বৃষ্টি শুরু দক্ষিণবঙ্গের এই সব জেলায়: আবহাওয়ার আপডেট
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছিল ভুয়ো কোম্পানি গুলি নিজের স্ত্রী,কন্যা, পরিবারের সদস্যদের দিয়ে চালাতেন জ্যোতিপ্রিয়। তবে এখানেই শেষ নয়, ইডি সূত্রে খবর, নতুন করে যেই ১০ কোম্পানির হদিস মিলেছে সেই সব কোম্পানির ডিরেক্টর হিসেবে নাম রয়েছে মন্ত্রীর প্রাক্তন আপ্তসহায়ক হাওড়া নিবাসী অভিজিৎ দাসেরও।
অন্যদিকে ভুয়ো কোম্পানির ডিরেক্টর হিসেবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাসের মা মমতা দাস ও তার স্ত্রী সুকন্যা দাসেরও নাম ব্যবহার করা হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, অভিজিৎ দাসের একার নামেই রয়েছে ৩টি কোম্পানি। পাশাপাশি অন্য ৩ কোম্পানির দুটির ডিরেক্টর মমতা ও সুকন্যা।
এমনকি তার বাড়ির পরিচারককেও একটি সংস্থার ডিরেক্টর করেছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। এমনটাই সূত্রের খবর। ইডির দাবি মন্ত্রী নিজের ঘনিষ্ট মানুষদের দিয়ে এই ভুয়ো সংস্থাগুলি চালাতেন। তবে এসবের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতেই রাখতেন জ্যোতিপ্রিয়।
জানিয়ে রাখি এই অভিজিৎ দাসের বাড়ি থেকেই ইডি উদ্ধার করেছে মেরুন ডায়েরি। যেই ডায়েরির পাতায় পাতায় দুর্নীতির লেনদেন লেখা রয়েছে বলে সূত্রের খবর। এবার পরবর্তীতে আর কী কী উদ্ধার করেন গোয়েন্দারা সেটাই দেখার বিষয়।