বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সোমবার নারদ মামলায় শোভন চট্টোপাধ্যায়কে (sovan chatterjee) গ্রেফতার করতেই, ‘সতী বেহুলা’র মত স্বামীকে বাঁচাতে উকিল নিয়ে ছুঁটে আসেন স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় (ratna chatterjee)। অন্যদিকে বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও কম যান না। নিজাম প্যালেস থেকে প্রেসিডেন্সির জেল- গোটা রাস্তাতেই শোভনের সঙ্গে দৌড়ে বেড়ান তিনি। এমনকি ওষুধ নিয়ে তাঁকে একবার দেখার জন্য জেলের সামনে কান্নাও জুড়ে দেন।
সিবিআই শোভনকে গ্রেফতার করতেই স্ত্রী এবং বান্ধবী তাঁদের ভালোবাসার প্রকাশ করতে থাকেন। বারণ করা সত্ত্বেও নিজাম প্যালেসে গিয়ে হাজির হন বান্ধবী বৈশাখী। তারপর সেখান থেকে যখন বাকিদের সঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হল, পেছন পেছন ছুটলেন তিনি।
প্রেসিডেন্সিতে ঢুকতে গেলে গেটেই আটকে দেওয়া হয় বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এরপর সেখানে দাঁড়িয়েই হাতে ওষুধ এবং চোখে জল নিয়ে কাতর আবেদন করে বলেন, ‘একটিবার শুধু দেখতে দিন আমায়। অন্তত ওষুধটা দিতে দিন। আপনারা অমানুষের মতো ব্যবহার করছেন। ওনার হাই সুগার থাকার পরেও কিছু খেতে দেন নি। আপনারা কি করছেন ওনার সঙ্গে? আমাকে একবার ঢুকতে দিন’।
অন্যদিকে উকিল নিয়ে নিজাম প্যালেসে পৌঁছান স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন শোভন পুত্র ঋষিও। এমনকি সেখানে সিবিআই নথিতে স্বাক্ষরও করেন রত্না। বিগত কয়েক বছর ধরে তাঁরা আলাদা থাকলেও, রত্নার কথায়, ‘উনি এখনও আমার স্বামী। ওনার বিপদের দিনে পাশে দাঁড়ানোটাই আমার কর্তব্য’।
অবশেষে দিনের শেষে সন্ধ্যায় রত্না বাড়ি ফিরে এলেও, পুত্র ঋষি সেখানে থেকে যায়। এমনকি পিতা শোভনের পেছন পেছন প্রেসিডেন্সির জেল অবধিও যান ঋষি। তবে এই পর্বে শোভনের প্রতি স্ত্রী এবং বান্ধবীর ভালোবাসা দেখে ব্যাঙ্গূক্তি করতে ছাড়েনি নেটিজনরা। তাঁদের ভাষায়, ‘বান্ধবী নিয়ে যাচ্ছে ওষুধ, বউ ডাকছে উকিল- এটাই তো পুরুষের আচ্ছে দিন। তবে এরপর জামিন পেলেও, জেলের ভয় কেটে গেলেও, মনে রেখো সুন্দরী বান্ধবী নয়, বউ ছিল তোমার পাশে’।