বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমানে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank Of India) ২০ টি বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ওপর কড়া নজর রাখছে বলে জানা গিয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানগুলি ব্যাঙ্ক থেকে সবচেয়ে বেশি ঋণ নিয়েছে। এমতাবস্থায়, ভবিষ্যতের যেকোনো আর্থিক ঝুঁকি যাতে সময়মতো চিহ্নিত করা যায় সেইজন্যই RBI-এর তরফে এহেন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে সূত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, পদ্ধতিগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক মধ্যস্থাতাকারী এবং সেন্ট্রাল রিপোজিটরি অফ ইনফরমেশন অন লার্জ ক্রেডিটসের নিয়মিত নজরদারির পাশাপাশি এই অতিরিক্ত সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে।
মূলত, ব্যাঙ্কিং সেক্টরের নিয়ন্ত্রক RBI এই ব্যবসায়িক গোষ্ঠী এবং তাদের সংস্থাগুলির মুনাফা ও অন্যান্য আর্থিক কার্যক্রম গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। শুধু তাই নয়, কোম্পানিগুলির অন্যান্য স্থান থেকে নেওয়া ঋণের পরিমানের পাশাপাশি তাদের ওপর কোনো ধরণের চাপ রয়েছে কি না সেইকারণে বন্ডের ওপরেও নজর রাখছে RBI। এমতাবস্থায়, একটি সূত্র জানিয়েছে, “যেকোনো ধরণের চাপ প্রতিহত করার জন্য একটি মনিটরিং সিস্টেম শুরু করা হয়েছে। যাতে ভবিষ্যতে ব্যাঙ্কগুলির ব্যালেন্স শিটে এই প্রভাব প্রতিরোধ করা যায়।”
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, গত ২৪ জানুয়ারি আদানি গ্রূপের বিরুদ্ধে আমেরিকান সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের চাঞ্চল্যকর নেতিবাচক রিপোর্ট সামনে আসার পর ব্যাঙ্কিং নিয়ন্ত্রক RBI একটি বিবৃতি জারি করে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়ে দেয় যে, নিয়ন্ত্রক এবং পর্যবেক্ষক হিসেবে RBI আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার লক্ষ্যে ব্যাঙ্কিং সেক্টর এবং প্রাইভেট ব্যাঙ্কগুলির উপর প্রতিনিয়ত নজর রাখছে।
আদানির সঙ্গে ব্যবসা করতে আত্মবিশ্বাসী LIC: এদিকে, ইতিমধ্যেই LIC-র চেয়ারম্যান এম আর কুমার আদানি গ্রূপের শীর্ষ ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, তাদের সাথে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। এদিকে, আদানি গ্রূপের বিরুদ্ধে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের পরে ওই বিমা সংস্থার ওপর কি প্রভাব পড়েছে তা জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, “আমি এখনই বৈঠকের ফলাফল জানাতে পারি না। তবে, আমরা তাদের সাথে বৈঠক করে খুশি হয়েছি।”
পাশাপাশি, তিনি আরও জানান যে, LIC আদানি গ্রূপের সাথে ব্যবসার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী রয়েছে। এদিকে, হিন্ডেনবার্গ-আদানি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট গত বৃহস্পতিবার প্রাক্তন বিচারপতি অভয় মনোহর সাপ্রে-র নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে। মূলত, এই ঘটনায় কোনো নিয়ন্ত্রক ত্রুটি ছিল কি না সেই বিষয়টিই খতিয়ে দেখবে ওই বিশেষজ্ঞ কমিটি।