বাংলা হান্ট ডেস্ক : মোদী জমানার প্রথম থেকেই আস্তে আস্তে করে আর্থিক শ্রীবৃদ্ধির হার কার্যত নিচে নেমেছে,প্রথমে জিডিপি বৃদ্ধির হার মোটামুটি থাকলেও মোদী সরকারের দ্বিতীয় জমানায় তা একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। বেকারত্বের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে দেশের আর্থিক সঙ্কট বাড়ছে। শিল্পে বিলগ্নিকরণ না হওয়া তার অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। যদিও অর্থনীতির এই রকম বেহাল দশা প্রথম আঁচ করেছিল বিরোধীরা, বিরোধীরা নতুন করে এই আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির হিসেব জানতেই অমনি মোদী সরকারের নতুন নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি মাথাচাড়া দিয়ে দাঁড়িয়েছে দেশে।
এমনিতেই বিশ্ব আর্থিক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল দেশে এ বছর আর আর্থিক বৃদ্ধির হার সম্ভব নয় তবে আগামী বছরে আসতে আসতে আর্থিক সঙ্কট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। তবে এবার বিদেশি সংস্থা নয় স্বয়ং রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া অর্থাত্ দেশীয় সংস্থায় জানিয়ে দিল দেশের আর্থিক করুণ দশার কথা, একই সঙ্গে দেশের এই আর্থিক বেহাল দশার জন্য আগামী এক বছরে ব্যাঙ্কে ঋণের পরিমাণ বাড়তে পারে বলে জানিয়ে দিয়েছে আরবিআই।
শুধু তাই নয় আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে অর্থাত্ সেপ্টেম্বর মাসে ব্যাঙ্কের ঋণের বৃদ্ধির হার এতটাই বাড়বে যা শত বছরের রেকর্ডকে ভেঙে দেবে। তাই তো দেশের আর্থিক সঙ্কটের কথা মাথায় রেখে সমস্যা সমাধান করতে আজ অর্থাত্ রবিবার ব্যাংক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের।
যদিও মাস কয়েক ধরে শেয়ার বাজার মোটামুটি ভাল কিন্তু গত এক বছর ধরে শেয়ার বাজারে প্রায়ই ধস নেমেছে। অন্যদিকে কেনাকাটার প্রতি মানুষের আগ্রহ কমেছে তাই বাজারে কেনাকাটা ও লগ্নির চাহিদা চাঙ্গা করার জন্য আপ্রান চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। চলতি আর্থিক বর্ষের মধ্যে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার এতটাই কমেছে যে তা নিয়ে নতুন করে কিছুই বলার নেই।
তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতো আন্তর্জাতিক বাজারে বেহাল দশার কারণে ভারতের রফতানির ওপর প্রভাব পড়বে তাই আগামী দিনে কেনাকাটা ও লগ্নিকে চাঙ্গা করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারের বিষয়টিতেও সতর্ক থাকতে হবে। অন্য দিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক একটি সমীক্ষা করেছে সেখান থেকে জানা গিয়েছে আগামী বছরের সেপ্টেম্বর মাসে এক ধাক্কায় ব্যাঙ্কগুলির অনাদায়ী ঋণ 9.9 শতাংশ ছুঁতে পারে যা চলতি বছরে 9.3 শতাংশে সীমাবদ্ধ ছিল।