বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শনিদেব (Shanidev), মৃত্যু ও ন্যায় বিচারের দেবতা। তিনি সূর্যদেব এবং মাতা সংজ্ঞার পুত্র এবং কন্যা যমদেব ও যমুনা দেবীর অনুজ ভ্রাতা। অন্যান্য দেব দেবীর মতো শনিদেবের কিন্তু একজন বাহন রয়েছেন। যার পিঠে চড়ে তিনি দেবলোকের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন। শনিদেবের বাহন কাক, তাঁর এক বন্ধুর মতই ছিলেন।
শনিদেবকে অশুভ বলা হলেও, এই কথা ভুল যে শনি দেব দুর্ভাগ্যের দেবতা। সনাতন হিন্দু ধর্মের একজন দেবতা হলেন শনিদেব। সূর্যদেব ও তার পত্নী ছায়াদেবীর পুত্র তিনি, এজন্য তাকে ‘ছায়াপুত্র’-ও বলা হয়।
মানুষের জীবনে যখন কোন খারাপ মুহুর্ত আসে, তখন বলা হয় তার উপর শনির দৃষ্টি পড়েছে। তাই তার জীবনে কোন উন্নতি হচ্ছে না। শনির দৃষ্টি একবার কারোর উপর পড়লে, তা সহজে ছেড়ে যায় না। তাই শনি দেবকে সন্তুষ্ট রাখার জন্য প্রতি শনিবার করে বারের পূজো করা হয়। হিন্দু মহিলারা শনিবার উপোষ রেখে শনিদেবতার পূজো করেন। সংসারের মঙ্গল কামনায়, পরিবারের সকলের সুস্থ এবং বিপদ মুক্ত ভবিষ্যতের জন্য প্রার্থনা করেন।
ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ মতে একদিন শনি দেবের স্ত্রী দেবী ধামিনী সুন্দর বেশভূষা নিয়ে তার কাছে এসে কামতৃপ্তি প্রার্থনার জন্য এসেছিলেন। কিন্তু ধ্যানমগ্ন শনি সেদিকে খেয়ালই করেন না। যার ফলে অতৃপ্তকাম পত্নী শনিকে অভিশাপ দিলেন, ‘আমার দিকে একবারও তুমি ফিরেও চাইলে না। ঠিক আছে এরপর থেকে তুমি যার দিকে চাইবে, সে-ই ভস্ম হয়ে যাবে’। তবে অনেকের মত ঘটনাটি মঙ্গলদেবের চক্রান্তে হয়েছিল।
শনিদেব কিন্তু ভালোর ভালো, আবার খারাপের খারাপ। কর্মফল দাতা শনিদেব কর্মফল দিতে গিয়ে তিনি অনেকের রোষানলে পড়লেও, কখনোই কিন্তু তিনি সত্যের পথ থেকে বিচ্যুত হননি। তিনি একাধারে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিবেরই অংশ। এই শনিদেবকে সন্তুষ্ট রাখার জন্য তাঁর পূজো করা হয়। শনিবার যদি আপনি তিল বা অরহর ডাল দান করেন, তাহলে আপনার জীবনে সুখ শান্তি বিরাজ করবে। আর যদি পারেন তো কিছুটা তিল এবং অরহর ডাল পকেটেও রাখতে পারেন। তাতে আপনার অনেক মঙ্গল হবে।