বর্ষবরণে রেকর্ড গড়ল সুরা প্রেমীরা, দু’দিনে বিক্রি হল ১১১ কোটি টাকার মদ! ব্যাপক লক্ষ্মীলাভ রাজ্যের

বাংলাহান্ট ডেস্ক: নতুন বছরকে বেশ উৎসবের সঙ্গেই স্বাগত জানিয়েছে ভারতবাসী। নয়া সালের দ্বিতীয় দিনে উঠে আসছে একের পর এক পরিসংখ্যান। তাতে দেখা যাচ্ছে, বর্ষবরণের রাতে চুটিয়ে উপভোগ করেছে দেশবাসী। এমনিতেই বর্ষবরণ বা যে কোনও উৎসবের সময় বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা ও বিক্রি বেড়ে যায় অনেকটাই। বাদ যায় না খাবার ও মদও (Rajasthan Liquor Sale Increase)। এ বারও ব্যতিক্রম হয়নি। 

করোনা পরিস্থিতির ফলে বিগত দু’বছর ধরে উৎসব উদযাপনে খানিক ভাটা পড়েছিল। জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা সহ একাধিক নিয়ম বিধির কারণে মানুষ তেমন বেরোতে পারেননি। তবে এ বছর করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ায় বর্ষবরণের রাতে দেদার উপভোগ করেছেন মানুষ।

alcohol

একটি পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২২-এর শেষ দু’দিনে রাজস্থানে ১০০ কোটি টাকারও বেশি মদ বিক্রি হয়েছে। মোট ১১১ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে সেখানে। যা গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বাধিক। শেষ দু’দিনে ৮৭.৮২ কোটি টাকার ভারতে তৈরি বিদেশি মদ বিক্রি হয়েছে। বাকি ১৯.৯৫ কোটি টাকার বিয়ার বিক্রি হয়েছে। 

রাজস্থানে ভালই ঠাণ্ডা পড়েছে। তার সঙ্গে করোনা পরিস্থিতিও প্রায় স্বাভাবিক। এই দুইয়ের মিশ্রণে মানুষ বর্ষবরণের রাতে মেতে উঠেছেন উৎসবে। যার ফলাফল স্পষ্ট। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের শেষ দু’দিনে রাজস্থানে মোট ৭৭.৮২ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছিল। সেই বছর জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা লাগু করা হয়েছিল।

https specials images.forbesimg.com imageserve 5e325c56f133f400076b17b9 0x0

এক মদ ব্যবসায়ীর কথায়, “প্রতি বছরই মদের বিক্রি বাড়ছে। তবে এ বছর শীতকালেও বিয়ারের বিক্রি বেড়েছে। ফলে রাজ্যের আয়ও বেড়েছে অনেকটাই। লকডাউনের সময়েই খালি তেমন মদ বিক্রি হয়নি। এর আগে ২০১৯ সালের শেষ দু’দিনে ১০৪ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছিল রাজস্থানে।”

Alcohol

২০২২ সালে রাজস্থানের আবগারি বিভাগ পার্টিতে মদ বিক্রির জন্য অস্থায়ী লাইসেন্স দেওয়া শুরু করে। জয়পুরে আবগারি বিভাগের তরফে প্রায় ১৫০টি অস্থায়ী লাইসেন্স বিলি করা হয়। মদ বিক্রেতাদের মতে, রাজ্যে প্রিমিয়াম মদ পাওয়া গেলে বিক্রি আরও বাড়ত। জয়পুরে মোট ৪০০টি মদের দোকান আছে। তবে এর মধ্যে অধিকাংশই ব্ল্যাক লেবেল, রেড লেবেলের মতো প্রিমিয়াম সুরার ব্র্যান্ড বিক্রি করে না। 

এর ফলে অনেক ক্রেতাই পার্শ্ববর্তী অঞ্চল যেমন দিল্লি, গুরুগ্রাম ও নয়ডা থেকে ওই মদ আনিয়েছেন। এক মদ বিক্রেতার মতে, এই ব্র্যান্ডগুলি থেকেই বড় অংশ লাভ করা যায়। সস্তার ব্র্যান্ড থেকে তেমন লাভ করতে পারেন না তাঁরা। ফলে তাঁরা চাইছেন রাজস্থানে যাতে প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডও বিক্রি করা যায়। 

Subhraroop

সম্পর্কিত খবর