বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কিছুদিন আগেই বারবার মামলা-মোকদ্দমায় নিয়োগ পিছিয়ে যাওয়ায় রাজ্যের হবু শিক্ষকদের বিক্ষোভ দেখেছিল গোটা কলকাতা শহর। আজ ফের একবার চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভের সাক্ষী থাকলো কলকাতা। এবার বিক্ষোভে সামিল হলেন রাজ্যের হবু কনস্টেবলরা। ২০১৯ সালে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্য পুলিশ। নিয়োগ করার কথা ছিল প্রায় ৬৫৮৮ জনকে। কিন্তু তাদের মধ্যে আঠারোশো চাকরিপ্রার্থী নিয়োগ পেলেও বাকিরা পাননি।
এর কারণ আদালতে চলতে থাকা মামলা। ২০২০ মাসের নভেম্বরে স্যাটের একটি মামলাকে ঘিরে কলকাতা হাইকোর্ট নিয়োগে স্থগিতাদেশ দেয়। ৩ মাসের মধ্যে মামলার নিস্পত্তিরও নির্দেশ দেওয়া হয়। কার্যত এখনও তার ফলাফল মেলেনি সেই সূত্র ধরেই আজ কলকাতায় ভবানী ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। বিক্ষোভ এতটাই গুরুতর হয়ে ওঠে যে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে আসেন ডিসি সাউথ আকাশ মাগারিয়া। কিন্তু তিনি আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও বিক্ষোভ চালাতে থাকেন চাকরি প্রার্থীরা।
অনেকের হাতেই ছিল পোস্টার, ব্যানার আর মুখে ছিল স্লোগান । পোস্টারে লেখা, “না খেতে পেয়ে মরছি। দ্রুত নিয়োগ করুন। পরীক্ষায় পাশ করে বসে রয়েছি। কিন্তু নিয়োগ বন্ধ বলে ভ্যান চালাচ্ছি। কষ্ট করে পড়ে সরকারি পরীক্ষায় পাশ করার পরও কেন চাকরি পাব না?” ডিসি সাউথ আশ্বাস দেওয়ার পরেও বিক্ষোভ না থামায় পুলিশের পক্ষ থেকে ৫ মিনিটের সময় দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি। ফলতো লাঠি উঁচিয়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে উদ্যত হয় পুলিশ। কার্যত ফের একবার প্রাপ্য চাকরি চাইতে এসে পুলিশের খাতায় নাম ওঠে বেশ কয়েকজনের। কারণ ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে ভ্যানে তুলেছে পুলিশ।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন এখন একটাই? সরকারি সমস্ত পদ্ধতি মেনে পাশ করেছেন এই সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা। তবে কেন বার বার পিছিয়ে যাবে নিয়োগ। মামলা-মোকদ্দমার জেরে কেন আর্থিক দুরবস্থা মধ্যে পড়ে থাকবেন চাকরি প্রার্থীরা। আজ নিজেদের দাবি মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশ বিভাগের কাছে তুলে ধরতে গিয়ে অপরাধীর তালিকায় নাম উঠল অনেকেরই। কার্যত প্রাপ্য চাকরিও হারিয়ে ফেললেন তারা।