বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য। কেলেঙ্কারিতে একের পর এক নাম জড়াচ্ছে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের। যা নিয়ে রীতিমতো অস্বস্তিতে তৃণমূল শিবির। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে দলের একাধিক নেতা-বিধায়ক, সকলেই এখন জেলবন্দি। একদিন আগেই সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jibankrishna Saha)। সেই নিয়েই তোলপাড় রাজনৈতিক মহল, আর এবার সূত্রের খবর সিবিআই স্ক্যানারে রয়েছেন সে জেলারই আরও দুই বিধায়ক।
গোয়েন্দা সংস্থার ওই সূত্রের দাবি, চাকরিপ্রার্থীদের সুপারিশকারী হিসাবে বড় ভূমিকা ছিল মুর্শিদাবাদের দুই বিধায়কেরও। বড়ঞার বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহার পর প্রয়োজনে ওই দুই নেতাকেও তলব করা পারে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, যতই দিন যাচ্ছে ততই লম্বা হচ্ছে দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের নামের তালিকা, এরই মধ্যে ফের উঠে এল শাসকদলের আরও দুই বিধায়কের প্রসঙ্গ।
গত বছর জুলাইতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই থেকেই হাতে খড়ি। এরপর থেকে নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের বহু নেতার। শুধু তাই নয়, তদন্তে উঠে এসেছে সুপারিশকারী থেকে এজেন্ট, সাব-এজেন্টের নাম। তাদের মধ্যে অনেকেই এখন তদন্তকারীদের হেফাজতে।
এই রকমই এক এজেন্টের সূত্র ধরে সিবিআই গ্রেফতার করেছে বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ দাসকে। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তৃণমূলের প্রাক্তন যুবনেতা কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় স্থানীয় এক এজেন্টে কৌশিকের নাম সামনে আসে। এরপরেই শুরু হয় খোঁজখবর। সিবিআই সূত্রে খবর, সেই এজেন্টের সূত্র ধরেই বড়ঞার শাসকদলের বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার নাম উঠে এসেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বড়ঞার কোগ্রামের বাসিন্দা এই কৌশিক। তিনি বিধায়কের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেই সকলে জানে। বিধায়কের বিভিন্ন পারিবারিক অনুষ্ঠানেও তাকে দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে এই বিষয়ে বিধায়ক সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘‘কৌশিক ঘোষ আমার ঘনিষ্ঠ নন। অনেকেই বিধায়কের কাছে আসেন। ছবি তোলেন। কৌশিক ঘোষও সেই ভাবেই ছবি তুলেছেন।’’
বিধায়কের জীবন সাহার বাড়ি থেকে তল্লাশির সময় উদ্ধার হয় চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা। সেই সূত্র ধরেই এবার আরও দুই বিধায়কের খোঁজ মিললো বলেই দাবি তদন্তকারীদের। সংশ্লিষ্ট সংস্থা সূত্রেই জানা গিয়েছে, বড়ঞার বিধায়কের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া চাকরিপ্রার্থীদের তালিকার মধ্যেই সুপারিশপত্রের হদিস মিলেছে। ওই দুই বিধায়কের পাঠানো তালিকাও রয়েছে তাতে। এবার বিধায়ককে কেন চাকরির তালিকা পাঠিয়েছিলেন তারা! কিভাবে যোগাযোগ হয় তাদের? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই এবার ওই দুজনাকে তলব করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। যদিও ওই দুই বিধায়কের নাম এখনও খোলসা করেনি সিবিআই।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা