বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam Case) নাম জড়ানোর পর থেকেই বিগত দুবছর ধরে জেলবন্দি রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার নামে গোটা সমাজের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছেন তিনি। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর জামিনের আবেদন খারিজ করে এমনটাই জানিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী।
আবার দেখা পার্থ-অর্পিতার (Partha Chatterjee)
যদিও ইতিমধ্যেই এই মামলায় জামিন মঞ্জুর হয়েছে পার্থ (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখ্যোপাধ্যায়েয় (Arpita Mukherjee)। নিয়োগ মামলায় অর্পিতার নাম জড়ানোর পর রাজ্য-রাজনীতিতে তাঁদের নিয়ে কম চর্চা হয়নি। অবশেষে আবার দেখা হতে চলেছে এই চর্চিত জুটির। আজই এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়,অর্পিতা মুখোপাধ্যায়-রা। এছাড়াও হাজির ছিলেন ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র, কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় এবং অয়ন শীল-রা। এরই মধ্যেএই দুর্নীতি কাণ্ডে পার্থ চট্টোপাধ্যায়,অর্পিতা মুখোপাধ্যায় সহ মোট ৫৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
মোট ৫৪ জনের বিরুদ্ধে বিগত দু’বছর ধরে এই মামলা চলছে। এই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির মামলায় জামিন পেয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। কিন্তু তারপরেও জেল মুক্তি হয়নি তার। সিবিআইয়ের করা মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। আর এবার ইডির মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শুরু হয়ে গিয়েছে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করার মামলা উঠেছিল।
সেখানে বিচারপতি অপূর্ব সিনহার রায়কে সমর্থন করেই বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীর তৃতীয় বেঞ্চ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। তার পরেই এবার কলকাতার নগর দায়রা আদালতে এই মামলার চার্জ গঠনের জন্য শুনানি শুরু হয়েছে। যদিও এদিন আইনি জটিলতার কারণ দেখিয়ে এই মামলা থেকে অব্যাহতি চাওয়ার আবেদন করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিও জানা যাচ্ছে, সিবিআই-এর মামলা থেকে আপাতত মুক্তি পাচ্ছেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায়সহ,কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়,শান্তিপ্রসাদ সিনহা, সুবীরেশ ভট্টাচার্য এবং অশোককুমার সাহা-রা।
আরও পড়ুন: মঞ্জুর! RG Kar-কাণ্ডে বিরাট সিদ্ধান্ত কলকাতা হাই কোর্টের
এই মামলায় বিচারপতি তবব্রত চক্রবর্তীর পর্যবেক্ষণ, ‘যোগ্য প্রার্থীদের সুযোগ না দিয়ে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া নাম করে সমাজের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। রাজ্য অভিযুক্ত সরকারি অফিসারদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়ায় সম্মতি না দিয়ে নীরব থাকায় তা অবাক করেছে। প্রসঙ্গত ২০২২ সালের ২৩ জুলাই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
কিছুদিন আগেই এই মামলায় জামিন পেয়েছেন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। ইডির মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন পেলেও সিবিআইয়ের মামলায় আবার খারিজ হয়ে যায় প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রীর জামিনের আবেদন। এবার শুরু হয়ে গেল ইডির মামলায় পার্থদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়াও।