বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মঙ্গলবার ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) চিঠি দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। তবে এ বার কার্যত আগের ‘ভুল’ শুধরে নিয়েছে সংস্থা। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের পর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সোমবার হাজিরার নোটিস পাঠিয়েছিল সিবিআই। সেই নিয়েই শুরু হয় টানাপোড়েন।
প্রসঙ্গত, অভিষেককে সিবিআই এর পাঠানো নোটিসের অন্তত তিন ঘণ্টা আগে সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৪ এপ্রিল বলেও জানানো হয়। তবে স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও সিবিআইয়ের নোটিস পাঠানো নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় টুইটারে অভিযোগ জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অভিযোগের ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই মঙ্গলবার ফের অভিষেকের কাছে পৌঁছল সিবিআই এর চিঠি। তবে তাতে জানানো হয়েছে আপাতত তাকে হাজিরা দিতে হচ্ছে না।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত হুগলীর প্রাক্তন যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের চিঠি প্রসঙ্গে গত সপ্তাহে তোলপাড় হয়ে ওঠে গোটা বাংলা। প্রসঙ্গটি কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে উঠলে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে নির্দেশ দেন বিচারপতি। জাস্টিস গাঙ্গুলির সেই নির্দেশকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক।
এরপরই বিচারপতির সেই পর্যবেক্ষণের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। তবে শীর্ষ আদালতের নিষেধের পরেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিষেককে নোটিস পাঠায় সিবিআই। যার বিরোধীতা করে সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর আজ সকালে সিবিআই আরও একটি চিঠি পাঠিয়ে অভিষেককে জানায়, সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত তাদেরকে ওই নোটিস স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সিবিআই দফতরে অভিষেককে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরপরই গর্জে ওঠেন অভিষেক। এই সমনের মাধ্যমে সিবিআই ও ইডিকে ব্যবহার করতে গিয়ে আদালত অবমাননা করছে বিজেপি, এমনটাই অভিযোগ তুলে সরব হন তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ডো। তবে এদিন দ্বিতীয় চিঠি পাঠিয়ে নিজেদের কথা পরিবর্তন করেছে সিবিআই।