বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বর্তমানে নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে উত্তাল বাংলার মাটি। একদিকে মহানগরীর রাজপথে আন্দোলন-অনশন, অন্যদিকে আদালতে দুর্নীতি বিষয়ক মামলা। এরই মধ্যে সম্প্রতি ১৮৩ জন অযোগ্যের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। বলা হয়েছে ‘অন্যায় সুপারিশ’-এ চাকরি পেয়েছেন এমন ১৮৩ জনের নাম আছে সেই তালিকায়। আর সেই তালিকা ভাইরাল হওয়ার পরই উদ্ধার হল পূর্ব মেদিনীপুরের (East Medinipur) এক শিক্ষিকার (Teacher ) ঝুলন্ত দেহ।
মৃত ওই শিক্ষিকার নাম টুম্পারানি মণ্ডল। বয়স ৩০ এর কাছাকাছি। নন্দীগ্রামের দেবীপুর মিলন বিদ্যাপীঠের বাংলার শিক্ষিকা ছিলেন। এদিন ‘অন্যায় সুপারিশ’ তালিকা প্রকাশ্যে আসার পরই সন্ধ্যায় চণ্ডীপুর থানার সরিপুর গ্রামের ভাড়াবাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। তৎক্ষণাৎ ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিন ঠিক কি ঘটেছিল? জানা গিয়েছে, টুম্পারানি চণ্ডীপুর বাজার সংলগ্ন সরিপুর গ্রামের এক বাড়িতে স্বামীর সঙ্গে ভাড়া থাকতেন। মৃত শিক্ষিকার বাপের বাড়ি চণ্ডীপুর থানার বুরুন্দা গ্রামে। ২০১৪ সালে ডিহি কাশিমপুর গ্রামের সুবীর পড়ুয়ার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। শনিবার বিকেলে সুবীর চণ্ডীপুর বাজারে চা খেতে যান। সেই সময় টুম্পারানি বাড়িতে একাই ছিলেন। সন্ধ্যায় সুবীর বাড়ি ফিরে বহু ডাকাডাকি করেও স্ত্রীর সাড়া পাননি। এরপরই ঘর থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
সূত্রের খবর , ২০১৯ সালে শিক্ষিকা হিসেবে চাকরি পান টুম্পারানি মণ্ডল। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নবম ও দশম শ্রেণির অন্যায় সুপারিশে শিক্ষক হিসাবে চাকরি পাওয়া ১৮৩ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। কমিশনের ওয়েবসাইটেই প্রকাশিত হয় সেই তালিকা। সাথেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় সেই অযোগ্য প্রার্থীরা কোথায় চাকরি করছেন সেই তালিকাও। এরপরই ঘটে দুর্ঘটনা।
মৃত শিক্ষাকার পরিবার সূত্রে দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া তালিকায় নাম দেখার পরই তিনি মানসিক ভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তারপরেই শিক্ষিকা এহেন ঘটনা ঘটান। ইতিমধ্যেই ঘটনার পূর্ণ তদন্তে নেমেছে চণ্ডীপুর থানার পুলিশ।
‘পান্ডিত্য করলেই রাজনৈতিকভাবে…’ সোহমের মন্তব্য ঘিরে তৃণমূলে বিরাট হইচই