বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২২ থেকে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্ত চালাচ্ছে ইডি-সিবিআই। আর সেই তদন্ত চলাকালীনই কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়েছে আসে কেউটে। প্রোমোটার অয়ন শীলের সূত্র ধরে সামনে উঠে আসে পুর নিয়োগ দুর্নীতি (Municipality Recruitment Scam)। এর আগে এই মামলায় একাধিক হেভিওয়েটের বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডি-সিবিআই। ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ একাধিক পুরসভার তালিকাও দিয়েছিল সিবিআই। সেই মামলাতেই এবার সিবিআই (CBI) স্ক্যানারে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার ১ হাজার ৮৫০ জনের চাকরি।
পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) তোলপাড় করা তালিকা
চার্জশিট দিয়ে সিবিআই জানিয়েছে, ২০১৪ সালের পর ১৭টি পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। যেখানে অর্ধেকের বেশি চাকরিই বেআইনি ভাবে করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বেআইনি ভাবে সবথেকে বেশি চাকরি হয়েছে দক্ষিণ দমদম পুরসভায়। দাবি CBI-র।
সিবিআই সূত্রে খবর, বেআইনি ভাবে চাকরি হয়েছে এমন ৩২৯ জনের নাম এখন তাদের স্ক্যানারে। পিছিয়ে নেই কামারহাটিও। তদন্তকারী এজেন্সির আতস কাঁচের নিচে কামারহাটিতে ৩০৩ জন, বরানগরে ২৭৬ জন, টিটাগড়ে ২২১ জনের নিয়োগও। সেই নামের সূত্র ধরেই দুর্নীতির পর্দাফাঁস করার জন্য চলছে তদন্ত।
এই চার পুরসভা ছাড়াও অবৈধ নিয়োগের তালিকায় রয়েছে কাঁচরাপাড়া, বাদুড়িয়া, হালিশহর, নিউ ব্যারাকপুর, দমদম, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, নবদ্বীপ, বীরনগর। সিবিআই সূত্রে দাবি এই সমস্ত বেআইনি নিয়োগই হয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: নিম্নচাপের খেলা শুরু! দুপুরেই ভারী বৃষ্টি কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের ৭ জেলায়: আবহাওয়ার খবর
সম্প্রতি পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) চার্জশিট জমা করে মারাত্মক দাবি করে সিবিআই। তদন্তকারীদের দাবি ছিল কোভিভকালে অতিমারির সময় এক নোটিসেই রাতারাতি ২৯ জনের নিয়োগ হয় দক্ষিণ দমদম পৌরসভায়। এই নিয়োগ সঠিকভাবে হয়নি বলেই আদালতে দাবি করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। CBI- র পেশ করা চার্জশিটে নাম ছিল দক্ষিণ দমদম পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাঁচু গোপাল রায়ের। পাশাপাশি পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত ‘মিডলম্যান’ অয়ন শীলের নামও ছিল চার্জশিটে।