বাংলা হান্ট ডেস্ক: পাঞ্জাবের সুরাপ্রেমীদের জন্য দারুণ সুখবর। মদ প্রায় সকল সুরাপ্রেমীদের কাছেই অমৃত সমান। ছোট বড় সকল অনুষ্ঠানেই একটুখানি রঙিন তরল নাহলে ঠিক যেন জমে না। অনেকেই আবার রোজকার কাজকর্ম শেষে কেতমারা গ্লাসে হালকা হুইস্কি পান করতে চান। একথা অনেকেই জানেন, পঞ্জাবে মদের ব্যবহার বেশ অনেকটাই বেশি। সেখানকার বাসিন্দারা ছোটখাটো সকল বিষয়ে মদ্যপান করতে খুবই পছন্দ করেন। এবার সেই সুরাপ্রেমীদের জন্যই আছে সুখবর।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, পঞ্জাব সরকার এমন এক আবগারি নীতি গ্রহন করতে চলেছে চলেছে, যেখানে মদের দাম হবে অনেকটাই কম। ২০২২-২০২৩ আবগারি নীতি অনুসারে পঞ্জাব সরকার যথেষ্ট পরিমান বিয়ার ভারতে তৈরি বিদেশি মদ বিক্রিতে চূড়ান্ত ছাড়পত্র দিয়েছে। জানা যাচ্ছে, সরকারের এই নির্দেশের ফলে মদের দামে ৩৫ থেকে ৬০ শতাংশ কমে যাবে দাম। ১ জুলাই থেকেই পাঞ্জাবে চালু হতে চলেছে এই নতুন নিয়ম। এই নয়া নীতির ফলে সব মিলিয়ে ৯ হাজার ৬৪৭ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করবে সরকার। ২০২১-২২ সালের এই রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ১৫৮ কোটি টাকা।
এই মুহূর্তে পঞ্জাবে মদের দাম হরিয়ানার থেকে প্রায় ১০-১৫ শতাংশ কম। সেখানে বিয়ারের দাম ১২০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে। সেখানে চণ্ডীগঢ়ে বোতল প্রতি বিয়ারের দাম ১২০ থেকে ১৫০ টাকা। নয়া নীতি চালুর ফলে পঞ্জাবের সবথেকে জনপ্রিয় মদের ব্র্যান্ডটি এখন থেকে বোতল প্রতি ৪০০ টাকা কম দামে বিক্রি হবে। এখন সেখানে এই মদের দাম ৭০০ টাকা। মদের দাম কমলে পঞ্জাব থেকে হরিয়ানায় বেআইনি মদ পাচার অনেকটাই কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আবগারি দফতরের কমিশনার বরুণ রুজম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বেশ কিছু রদবদল নিয়ে এসেছি। তবে মদের কালবাজারি যেন বন্ধ হয় সেই দিকেও আমাদের কড়া নজর দিতে হবে।’ আবগারি দফতর সূত্রে খবর, বেআইনি মদপাচার, অপ্রাপ্তবয়স্কদের মদ বিক্রি, এবং চোলাই মদের ব্যবহার অনেকটাই কমবে এই নয়া নীতিতে। সেই কারণে বাড়ানো হয়েছে পুলিশ বাহিনীও।