বাংলাহান্ট ডেস্ক : কাশ্মীর হামলার (Kashmir Attack) পরিপ্রেক্ষিতে এবার খাস কলকাতায় ধর্ম বিদ্বেষের অভিযোগ উঠল চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। একটি কল রেকর্ডিংয়ের ভিত্তিতে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছেন রোগিনী। খাস কলকাতায় ধর্মীয় বিদ্বেষের অভিযোগ এনেছেন তিনি। রোগিনীর বক্তব্য, তাঁর ধর্মের রোগীকে আর দেখবেন না বলে নাকি মন্তব্য করেন চিকিৎসক।
কাশ্মীর হামলার (Kashmir Attack) পর কলকাতায় ধর্মীয় বিদ্বেষের অভিযোগ
মহেশতলার ঘটনায় স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তাঁর প্রতিবেশী কঙ্কনা খাতুন। বর্তমানে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা তিনি। যে কল রেকর্ডিংয়ের ভিত্তিতে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেখানে চিকিৎসককে বলতে শোনা যায়, ‘যারা আমার ধর্মের লোকদের মারে, তাদের আমি কিছুতেই দেখব না। লজ্জা করে না? কেন আসো আমার কাছে? খুন করা মানুষ!’ কঙ্কনার অভিযোগ কি সত্যি?
চিকিৎসকের বিরুদ্ধে উঠল অভিযোগ: চিকিৎসক চম্পাকলি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, কাশ্মীরের ঘটনায় (Kashmir Attack) উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু তাই বলে তিনি কখনোই কোনো রোগীকে দেখবেন না, এটাও বলেননি। যদিও চিকিৎসক অভিযোগ করেন, সম্প্রতি ভিজিটের টাকা দেওয়ার জন্য সমস্যা হয়েছে কয়েকজন মুসলিম রোগীকে তরফে। কঙ্কনাও নাকি একই ভাবে ভিজিট দিতে টালবাহানা করছিলেন।
আরো পড়ুন : অরিজিতের পর এবার আরিয়ান, পহেলগাঁও হামলার জেরে বড় সিদ্ধান্ত শাহরুখ-পুত্রের
অভিযোগ দায়ের থানায়: অন্যদিকে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন কঙ্কনার স্বামী। মহেশতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করে শেখ সাইফুল্লার বক্তব্য, কঙ্কনা যতবার চিকিৎসকের কাছে গিয়েছেন, ভিজিট দিয়েছেন। এমনকি রিপোর্ট দেখাতে গেলেও তিনি ভিজিটের টাকা দেন। চিকিৎসক মিথ্যে কথা বলছেন বলে অভিযোগ করে সাইফুল্লার বক্তব্য, ধর্মীয় বিদ্বেষ দেখানোর কারণে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
আরো পড়ুন : ‘কাশ্মীর যেতে হলে কলমা শিখতে হবে, নয়তো…’, পাকিস্তান থেকে বার্তা বলিউড নায়িকাকে!
মঙ্গলবার পহেলগাঁওতে হামলার (Kashmir Attack) ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। পর্যটকদের নাম জিজ্ঞাসা করে হিন্দুদের বেছে বেছে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে। যারা জীবিত ফিরতে পেরেছেন তাদের মধ্যে অনেকেই দাবি করেছেন, কলমা পড়তে বলা হয়েছিল। অসমের এক বাঙালি অধ্যাপক হিন্দু হয়েও কলমা পড়ে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। এমতাবস্থায় সমাজের বিভিন্ন স্তরে তীব্র হয়ে উঠেছে প্রতিবাদ।