বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চীন থেকে আগত করোনাভাইরাস নিয়ে সারা বিশ্ব তোলপাড়। আর এই ভাইরাসের জেরে মৃত্যু হয়েছে অনেকে। আর আক্রান্ত হয়েছে অনেকে।রামনবমীর দিন বলেছিলেন করোনা বিপদে রামচন্দ্রের নাম জপ করতে। এবার বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহার (Rahul Sinha) পরামর্শ, “করোনা নামক মারণ ভাইরাস দূরীভূত হতে পারে সংকট মোচন হনুমানজিকে স্মরণ করলে। হনুমান জয়ন্তীতে বজরংবলী অবতীর্ণ হয়েছিলেন। জগৎবাসীকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছিলেন। সবাই মিলে সংকটকালে বজরংবলীকে স্মরণ করি।” একইসঙ্গে অবশ্য মারণ করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। বুধবার হনুমান জয়ন্তীর দিন রাহুল সিনহার এই বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।
সারা দেশজুড়ে চলছে সরকার ঘোষিত লকডাউন (lockdown)। তাই এদিন হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে গেরুয়া শিবির সব কর্মসূচি বাতিল করেছে। কোনও সংগঠনই হনুমান জয়ন্তীতে মিছিল-শোভাযাত্রা বের করেনি। এদিকে, ভিন রাজ্যে আটকে পরা শ্রমিকদের সমস্ত রকম সহায়তার অনুরোধ জানিয়ে ছ’রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, ওড়িশা, পাঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। ওইসব রাজ্যে বাংলার বহু পরিযায়ী শ্রমিক আটকে রয়েছেন। তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সেসব রাজ্য সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন দিলীপবাবু। এর আগে কেরলের মুখ্যমন্ত্রীকেও চিঠি দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
বাম-কংগ্রেস তো বটেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক আগেই ভিন রাজ্যে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের সহায়তা করার জন্য একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে আরজি জানিয়েছেন। তাহলে বঙ্গ বিজেপির তরফে এত পরে চিঠি দিলেন কেন দিলীপ ঘোষ? রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য ভিন রাজ্যের আটকে পরা শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে তারাই প্রথম থেকে উদ্যোগ নিয়েছেন। বাংলার বিজেপি সাংসদরা ভিন রাজ্যে আটকে থাকা এখানকার শ্রমিকদের জন্য আগেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সেখানকার বিজেপি সাংসদদের সহায়তা নিয়ে। তাছাড়া রাজ্য বিজেপির একাধিক নেতা ভিন রাজ্যে আটকে থাকা বাংলার বাসিন্দা ও শ্রমিকদের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। বিজেপির যুব মোর্চার কেন্দ্রীয় সম্পাদক সৌরভ সিকদারের বক্তব্য, আমরা দলীয়ভাবে ভিন রাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে সমস্ত রকম উদ্যোগ নিয়েছি। নিয়মিত তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
আটকে পড়া শ্রমিকদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তা দেখার জন্য রাজ্য বিজেপির কয়েকজন নেতাকে দায়িত্বও দিয়েছেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। এদিকে, রাজ্য বিজেপির তরফে প্রতিদিনই ত্রাণ ও খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন ১ লক্ষ মানুষকে ত্রাণ দেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে দলের তরফে। এদিন, রান্না করা খাবার দুস্থ মানুষদের হাতে তুলে দেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা।