এবার কাঁপবে ভারত-পাকিস্তান-আফগানিস্তান! ভবিষ্যদ্বাণী তুরস্ক ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া বিজ্ঞানীর

বাংলাহান্ট ডেস্ক: তুরস্কের (Turkey) ভয়াবহ ভূমিকম্পের পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিলেন নেদারল্যান্ডসের (Netherlands) এক গবেষক (Researcher)। ঘটনাটি ঘটার প্রায় ৩ দিন আগেই এর পূর্বাভাস দিয়েছিলেন তিনি। এ বার এই গবেষক আফগানিস্তান (Afghanistan) ও পাকিস্তানেও (Pakistan) বড়সড় ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দিলেন। এর যথেষ্ট প্রভাব ভারতেও (India) পড়বে বলে জানালেন তিনি। গত ৬ ফেব্রুয়ারি এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও সিরিয়া। 

ফ্র্যাঙ্ক হুগারবিটস (Frank Hoogerbeets) নামক এই ডাচ গবেষক ঘটনার ৩ দিন আগেই অর্থাৎ ৩ ফেব্রুয়ারি জানিয়েছিলেন এটির কথা। তিনি বলেছিলেন, তুরস্ক ও সিরিয়ায় রিখটার স্কেলে ৭.৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আসছে। কিন্তু সেই সময়ে তাঁর কথায় কেউ গুরুত্ব দেয়নি। এরপর সত্যিই ভয়াবহ ভূমিকম্প হয় ৬ তারিখ। এখনও পর্যন্ত ৩৪ হাজার মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।

frank hoogerbeets

এই ডাচ গবেষক সোলার সিস্টেম জিওমেট্রি সার্ভেতে (SSGS) কর্মরত। এই সংস্থা মহাজাগতিক বস্তুর গতিপ্রকৃতি দেখে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়। এ বার ভারত মহাসাগর অঞ্চলে এমন বড়সড় ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দিয়েছে ফ্র্যাঙ্কের সংস্থা। পাশাপাশি, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারতেও একই ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছে তারা। যদিও ফ্র্যাঙ্ক জানিয়েছেন, এই পূর্বাভাস নিয়ে এখনও কিছু বিভ্রান্তি রয়েছে।

এখনও জানান যাচ্ছে না যে ভূমিকম্পটি আফগানিস্তান থেকে শুরু হয়ে ভারত মহাসাগরে গিয়ে পৌঁছবে কি না। তবে ফ্র্যাঙ্কের দাবি, ভারতে ২০০১ সালের ভূমিকম্পের মতোই প্রভাব থাকবে এই ভূমিকম্পটিরও। যদিও এমনটা নাও হতে পারে। কিন্তু ফ্র্যাঙ্কের দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজ্ঞানী মহল। তাঁদের মতে, এ ভাবে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া যায় না। এই ডাচ গবেষকের কথা বিশ্বাস করতে নারাজ সমগ্র বিজ্ঞানী মহল।

turkey earthquake

মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে (US Geological Survey) জানিয়েছে, কোনও বিজ্ঞানীরই ক্ষমতা নেই ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়ার। কিন্তু ফ্র্যাঙ্ক জানিয়েছেন, তাঁদের ব্যবহৃত পন্থা নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। তাঁরা মহাজাগতিক বস্তুর গতিপ্রকৃতি দেখে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেন। কিন্তু বহু বিজ্ঞানীই মানেন না যে পৃথিবীতে ভূমিকম্পের জন্য কোনও মহাজাগতিক বস্তু দায়ী হতে পারে। 

এই ডাচ বিজ্ঞানী আরও জানিয়েছেন, তিনি এই গবেষণা বহু বছর ধরে করছেন। তারপরেই এ ভাবে পূর্বাভাস দিতে পারছেন।এছাড়াও আগে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পগুলি নিয়েও গবেষণা চালায় তাঁর সংস্থা। ফ্র্যাঙ্কের মতে, অন্যান্য দেশের সঙ্গে এই প্রযুক্তি ভাগ করে নেওয়া কঠিন। এই মুহূর্তে এই প্রযুক্তির বিস্তার ঘটানো সম্ভব নয়। তিনি বলেছেন, ভারত সরকার যদি তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে, তাহলে এই প্রযুক্তি ভারতের সঙ্গে ভাগ করবে তারা। 


Subhraroop

সম্পর্কিত খবর