বাংলাহান্ট ডেস্ক : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) চত্বরে সিসিটিভি (CCTV) থাকা নিয়ে বেজায় আপত্তি রয়েছে পড়ুয়াদের একাংশের। তাদের বক্তব্য সিসিটিভি ক্যামেরা বসালে লঙ্ঘিত হতে পারে তাদের ব্যক্তিগত অধিকার। তাই এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিকল্প কিছুর কথা ভাবতে শুরু করে দিয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের একটি সূত্র বলছে, কর্তৃপক্ষ রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেনটিফিকেশন সিস্টেম বসানোর পরিকল্পনা করছে। এমনকি এই প্রযুক্তি বসানো হতে পারে হোস্টেলেও। অন্তর্বর্তীকালীন ভিসি বুদ্ধদেব সাউ একটি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোই শুধু যথেষ্ট নয়। আমরা বিশেষজ্ঞদের মতামত নেব RFID সিকিউরিটি সিস্টেম বসানো যায় কি না।
আরোও পড়ুন : হঠাৎ পরিবর্তন, বদলে গেল SSC-র মেধা তালিকা প্রকাশের নিয়ম! প্রকাশ্যে তথ্য
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর পর অনেকেই বলছেন সেই রাতের ঘটনার অনেকটাই আভাস পাওয়া যেত যদি পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা থাকত। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের বহু জায়গায় ছিল না সিসিটিভি। এর ফলে সেই রাতের ঘটনা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। কোনও বিষয়কে সুস্পষ্ট ভাবে চিহ্নিত করা যায় RFID সিকিউরিটি সিস্টমের সাহায্যে।
এই আরএফআইডি সিস্টেমটি দেশের সুরক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সিস্টেম একটা সময় লাগানো হয়েছিল দিল্লির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায়। এই সিস্টেমটি যেকোনও প্রাণী অথবা বস্তুকে সহজে চিহ্নিত করতে পারে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ব্যবস্থার দ্বারা। র্যাগিং (Ragging) রুখতে ইউজিসি যে সকল নিয়মাবলী পেশ করে তার মধ্যে ছিল সিসিটিভি ক্যামেরা।
আরোও পড়ুন : এক ভুলেই জীবন শেষ! ফোনের কভারের মধ্যে কখনোই রাখবেনই না এই জিনিসগুলো, তাহলেই বড় বিপদ
কিন্তু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সেই নির্দেশ মানেনি। তদন্তকারীরা তদন্তে নামার পর জানতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের বহু জায়গায় নেই সিসিটিভি ক্যামেরা। কিছু জায়গায় সিসিটিভি থাকলেও সেগুলি কাজ করে না। এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অংক ও ভূগোল বিভাগের সামনে রয়েছে কিছু সিসিটিভি।
সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কিছু স্ট্যাটেজিক লোকেশনে। হোস্টেলেও এই ক্যামেরা বসানো হতে পারে। অপরদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসিকে যে দুটি রিপোর্ট পাঠিয়েছিল তাতে মোটেই সন্তুষ্ট নয় ইউজিসি কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন ভিসি বুদ্ধদেব সাউ বলেছেন, মিটিং হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির সাথে।