জেলের মধ্যেই অঝোরে কান্না! কারণ জিজ্ঞেস করতেই সঞ্জয় যা বলল … তুমুল শোরগোল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার (RG Kar Case) মূল অভিযুক্ত তিনি। সিবিআইয়ের চার্জশিটে ধর্ষক খুনি হিসেবে তাঁর উল্লেখ রয়েছে। এবার সেই সঞ্জয় রায়কেই জেলের ভেতর গুমরে কাঁদতে দেখা গেল! কারণ জিজ্ঞেস করতেই জবাব এল, জেলের ভেতর দমবন্ধ হয়ে আসছে।

  • আর কী কী বললেন আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) অভিযুক্ত?

বিগত দু’মাসের অধিক সময় ধরে জেলের চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দি সঞ্জয় (Sanjay Roy)। আরজি কর মামলার শুনানির সময়ও তাঁকে ভার্চুয়ালি হাজির করানো হয়। সুরক্ষা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় সশরীরে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় না তাঁকে। এবার এসব মিলিয়ে জেলের ভেতর কান্নায় ভেঙে পড়েন সঞ্জয়।

রিপোর্ট অনুযায়ী, মঙ্গলবার নিজের সেলে বসে কাঁদতে দেখা যায় আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) মূল অভিযুক্তকে। তখন একজন কারারক্ষী এসে তাঁকে কান্নার কারণ জিজ্ঞেস করেন। উত্তর আসে, ‘জেলের ভেতর দম বন্ধ হয়ে আসছে। আমার জেলে থাকতে ভালোলাগছে না। জেল কর্তৃপক্ষ সব আর্জি খারিজ করে দিচ্ছে। আমার স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরা করার অভ্যাস। এভাবে কি বেঁচে থাকা যায়? দুশ্চিন্তায় রাতে ঘুম আসছে না’।

আরও পড়ুনঃ পুজো উদ্বোধন করে ফেরার পথেই বিপত্তি! তৃণমূলের হাতেই আক্রান্ত সন্দেশখালির বিধায়ক

সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, সেদিন সঞ্জয়ের কান্না থামাতে আরও বেশ কয়েকজন জেলকর্মী সেখানে হাজির হন। তাঁরা সঞ্জয়কে নানানভাবে বোঝাতে থাকেন। এরপর তাঁদের কথা মতো খাবার খায় আরজি কর কাণ্ডের অভিযুক্ত।

RG Kar case Sanjay Roy at Sealdah Court said this in front of the Judge

উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালের চারতলার সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয় মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ। পরবর্তীতে জানা যায়, ধর্ষিতা হয়ে খুন হয়েছেন তিনি। এই ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। পরবর্তীতে সিবিআইয়ের (CBI) হাতে এই মামলার তদন্তভার যাওয়ার পর সঞ্জয়কে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে তুলে দেওয়া হয়।

এরপর কয়েকদিন সিবিআই হেফাজতে থাকেন আরজি কর ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডের (RG Kar Case) অভিযুক্ত। এরপর ২৩ আগস্ট তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। তখন থেকে জেলের চার দেওয়ালের মধ্যে দিন কাটছে সঞ্জয়ের।


Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর