‘আজ রাতে..,’ জেলের মধ্যে কী ‘আবদার’ করছে আর জি কর কাণ্ডের সঞ্জয়? জানলে মাথা ঘুরে যাবে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই সংবাদের শিরোনামে রয়েছে আরজি কর হাসপাতাল (RG Kar Case)। মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ, খুনের ঘটনায় উত্তাল গোটা বাংলা। ঘটনার পর ২০ দিন অতিক্রান্ত। তবে ন্যায়বিচারের দাবিতে এখনও রোজ পথে নামছে মানুষ। এদিকে ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে ধৃত সঞ্জয় রায় আবার জেলের মধ্যে নানান রকম ‘বায়না’ জুড়েছেন।

• জেলের মধ্যে কী ‘আবদার’ করেছেন সঞ্জয় (RG Kar Case)?

তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রথম গ্রেফতারি করেছিল কলকাতা পুলিশ। মূল অভিযুক্ত হিসেবে সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় র‍ায়কে (Sanjoy Roy) গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে অবশ্য এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। তাই সঞ্জয়ও এখন কেন্দ্রীয় এজেন্সির দায়িত্বে রয়েছেন। তবে তাঁর ঠিকানা জেল হেফাজত। আর সেখানেই তিনি একাধিক ‘বায়না’ করছেন বলে জানা যাচ্ছে।

• জেলের মধ্যেই ক্ষোভ উগড়ে দেন সঞ্জয়!

জেল সূত্রে জানা জানা যাচ্ছে, সেখানকার খাবার নিয়ে নাকি একেবারেই সন্তুষ্ট নন ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার (RG Kar Case)। বরং তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে। রাতের খাবার দেওয়ার আগে নাকি এক কারারক্ষীকে তিনি জিজ্ঞেস করেন, আজ কী খাবার আছে? উত্তরে জানানো হয়, রুটি-সবজি। এটা শুনেই সঞ্জয় ক্ষোভে ফেটে পড়েন বলে খবর।

আরও পড়ুনঃ ‘রাজ্য সরকার যদি..,’ নিয়োগ দুর্নীতিতে বড় প্রশ্ন তুলে দিল হাইকোর্ট, আরও বিপাকে পার্থরা!

রুটি-সবজির বদলে রাতের খাবার হিসেবে এগ চাউমিনের ‘বায়না’ করে আরজি কর কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত। যদিও তাঁর সেই ‘আবদার’ পত্রপাট খারিজ করে দেওয়া হয়। জেলের নিয়ম মেনে বাকি সব বন্দিদের মতো সঞ্জয়কেও ওই একই খাবার খেতে দেওয়া হয়। জেল (Jail) সূত্রে জানা যাচ্ছে, এগ চাউমিনের ‘বায়না’ করলেও রাতের খাবার হিসেবে রুটি-সবজি দেওয়ায় বেশ চটে যান সঞ্জয়। ফের একবার এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সে। তবে কারারক্ষীরা ধমকাতেই চুপচাপ সবটা খেয়ে নেন।

উল্লেখ্য, কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরেই শোনা গিয়েছিল, নিজের দোষ স্বীকার করেছেন সঞ্জয়। এমনকি ফাঁসির কথাও বলেছিলেন বলে জানা যায়। তবে ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের (CBI) হাতে আসতেই বদলে যায় সম্পূর্ণ চিত্র। ইতিমধ্যেই ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারের পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়েছে। সেখানে তিনি বেশ কিছু বিস্ফোরক দাবি করেছেন বলে খবর।

এদিকে সিবিআই হেফাজত থেকে জেল হেফাজতে আনার পর সঞ্জয় নাকি কারারক্ষীদের কাছে হাতজোড় করে একটি আবেদন করেন (RG Kar Case)। তাঁকে যাতে শান্তিতে ঘুমোতে দেওয়া হয়, এই আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। এখন আবার রাতের খাবার নিয়ে ‘বায়নাক্কা’ জুড়েছে সে।