বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি করে ধর্ষণ, খুনের ঘটনায় পরতে পরতে রহস্য! মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের দিন থেকেই উত্তাল বাংলা। রাজ্যজুড়ে উঠেছে প্রতিবাদের ঢেউ। কয়েকদিন আগেই এই মামলায় গ্রেফতার করা হয় টালা থাকার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল এবং আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে (RG Kar Case)। এবার তাঁদের নিয়েই আদালতে বিস্ফোরক দাবি করল সিবিআই।
ধর্ষণ-খুনে জড়িত নন সন্দীপ-অভিজিৎ (RG Kar Case)?
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পরেই শিরোনামে উঠে আসেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাঁর ভূমিকা নিয়ে নানান মহল থেকে প্রশ্ন ওঠে। এরপর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI)। এরপর ধর্ষণ, খুনের ঘটনাতেও তাঁকে হাতকড়া পড়ায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
- আদালতে বিস্ফোরক সিবিআই!
ওই একই মামলায় টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎকেও গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। প্রমাণ লোপাটের মতো মারাত্মক অভিযোগ আনা হয়েছিল তাঁদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সন্দীপ-অভিজিৎ দু’জনকেই শিয়ালদহ আদালতে হাজির করানো হয়। সেখানে বিচারক সিবিআইকে জিজ্ঞেস করেন, সন্দীপ (Sandip Ghosh) ও অভিজিতের বিরুদ্ধে ৩ দিনে কোনও মেটিরিয়াল পেয়েছেন ধর্ষণ, খুনের সঙ্গে যুক্ত?
আরও পড়ুনঃ বান্ধবীকে নিয়ে হোটেলে রাত্রিবাস! আরজি কর কাণ্ডে CBI স্ক্যানারে আশিস! এই ব্যক্তি কে জানেন?
উত্তরে তদন্তকারী সংস্থা জানায়, আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং টালা থানার তৎকালীন ওসি প্রমাণ লোপাট এবং ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত। ধর্ষণ, খুনের (RG Kar Case) সঙ্গে তাঁরা জড়িত নন। একথা শোনার পর বিচারক পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘ওনারা কি ধর্ষণ, খুনের পূর্ব পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত? আগে থেকে ওনারা এই বিষয়ে কিছু জানতেন?’
জবাবে সিবিআই বলে, এখনও অবধি সন্দীপ এবং অভিজিতের বিরুদ্ধে এর কিছু মেলেনি। তবে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং টালা থানার ওসি দু’জনেই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে দাবি করেছে তদন্তকারী সংস্থা।
উল্লেখ্য, আরজি করে ধর্ষণ, খুনের ঘটনায় কোমর বেঁধে তদন্তে নেমে পড়েছে সিবিআই। গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তা দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশের পাশাপাশি শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, তদন্ত (RG Kar Case) এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছে। এই অবস্থায় যদি তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে তাহলে তদন্তপ্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ওঠে।