বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে ডাক্তার ধর্ষণ খুনের ঘটনায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় (RG Kar Case) বেশ কয়েকটি গ্রেফতারি করেছে সিবিআই। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার জানা যাচ্ছে, এই মামলার তদন্তে বিরাট তথ্য হাতে এসেছে!
আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) চাঞ্চল্যকর মোড়?
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, গত ৮ আগস্ট দুপুর থেকে ৯ আগস্ট মধ্যরাতের মধ্যে সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) সঙ্গে আরজি কর হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের দু’জন জুনিয়র চিকিৎসকের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল। প্রায় ৩০টিরও বেশি ফোনালাপ হয়েছিল বলে খবর। এবার সিবিআইয়ের নজর সেদিকেই।
জানা যাচ্ছে, তিনজনের মধ্যে কনফারেন্স কলও হয়েছিল। গত ৯ আগস্ট আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালের চারতলার সেমিনার রুম থেকে ডাক্তারের দেহ উদ্ধারের পর দুপুর থেকে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিতের সঙ্গেও বেশ কয়েকবার কথার রেকর্ড রয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ ঘুরে গেল মোড়! রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA মামলা নিয়ে ঘটে গেল এই ঘটনা, চাপে সরকার?
এই প্রসঙ্গে এক সিবিআই (CBI) আধিকারিক বলেন, ‘ওই তরুণী ডাক্তারের খুনের ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত বলে তদন্তের দ্বিতীয় ধাপ থেকে কিছু কিছু প্রমাণ মিলতে শুরু করেছিল। প্রাথমিক তদন্তের পর সন্দীপ ও তাঁর ঘনিষ্ঠ দু’জন জুনিয়র ডাক্তারের কল ডিটেলস পাওয়া গিয়েছিল। এর সন্দীপ এবং অভিজিতের ফোন ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেই রিপোর্ট হাতে আসার পর তদন্ত এগিয়েছে’।
কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই দুই জুনিয়র ডাক্তারকে জেরা করা হয়েছে। সিবিআই হেফাজতে থাকার সময় আরজি করের (RG Kar Case) প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়েও দু’জনকে জেরা করা হয় বলে খবর। এখানেই শেষ নয়! সিবিআইয়ের একজন আধিকারিক বলেন, গত ৭ আগস্ট নাকি আচমকাই ডিউটি রস্টারে বদল আনা হয়েছিল। ঘটনার দিন, তথা ৮ আগস্ট রাতে ওই দুই জুনিয়র ডাক্তারের চেস্ট বিভাগে ডিউটি ছিল না। তবে সন্দীপের নির্দেশে ডিউটি দেওয়া হয়। গত মার্চ মাস থেকে চেস্ট বিভাগের ডিউটি রস্টার পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এভাবে হঠৎ ডিউটি রস্টারে বদল করার নজির চোখে পড়েনি বলে খবর।
তদন্তকারী সংস্থার এক আধিকারিকের কথায়, সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ ওই দুই জুনিয়র ডাক্তারের সঙ্গে আরজি করের নির্যাতিতার সম্পর্ক গত কয়েক মাস ধরে বিশেষ ভালো যাচ্ছিল না বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে নিহত ডাক্তারের সহপাঠী, হাসপাতালের কয়েকজন সিনিয়র ডাক্তার ও নার্সিং স্টাফদের জেরা করে এমন তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে খবর।