বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডে একের পর এক নয়া মোড়। এবার পুলিশের তৈরি সিজার তালিকা সামনে আসতেই বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ডায়েরির সাদা পাতায় লেখা ‘খুব আনন্দে থাকো!’ কে লিখলেন এই লেখা? উদ্দেশ্যটাই বা কী? দেখা দিয়েছে এই প্রশ্ন। একইসঙ্গে নিহত চিকিৎসকের সোদপুর থেকে ব্যারাকপুর অবধি চেম্বার সম্বন্ধিত নানান তথ্যও সিবিআই গোয়েন্দারা আলাদা করে দেখছেন বলে খবর (RG Kar Case)।
সিবিআই স্ক্যানারে নির্যাতিতার পাঠানো হোয়্যাটসঅ্যাপ মেসেজ (RG Kar Case)!
আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) যে রাতে ওই নারকীয় ঘটনা ঘটেছিল, সেই রাতেই এক আত্মীয়কে সংক্ষিপ্ত একটি হোয়্যাটসঅ্যাপ মেসেজ পাঠিয়েছিলেন মৃতা। রাত ২:০৩ মিনিটে ওই বার্তা পাঠানো হয়। তদন্তকারীদের নজরে সেই বিষয়টিও রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। একইসঙ্গে সিবিআই সূত্রে খবর, ডায়েরির পাতায় যে লেখা রয়েছে সেই বিষয়ে গ্রাফোলজিস্ট তথা হস্তাক্ষর বিশারদেরও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।
- মৃতার মায়ের দাবিতে তোলপাড়!
বর্তমানে আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) তদন্তে ঘটনার রাতের ‘সময় সারণি’ তদন্তকারীদের কাছে অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে। নির্যাতিতার মায়ের কথায়, ঘটনার রাতে ১১:১৫ নাগাদ মেয়ের সঙ্গে তাঁর শেষবারের মতো কথা হয়েছিল। সেই সময় তাঁর মেয়ে বেশ হাসিখুশি ছিলেন। কী খাবার অর্ডার করেছেন সেটা জানিয়ে মাকে শুয়ে পড়তে বলেন বলে দাবি। একইসঙ্গে বলেছিলেন, রাতের খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেবেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ পরপর ৪ দিন বন্ধ থাকবে স্কুল! কোন কোন দিন ছুটি পাবেন পড়ুয়ারা? নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি রাজ্যের
অন্যদিকে মৃতার বাগদত্তার দাবি, রাত ১১:৩০টা নাগাদ তাঁর সঙ্গে ওই তরুণী চিকিৎসকের শেষ কথা হয়। সেই সময় জানিয়েছিলেন, তিনি ব্যস্ত আছেন। এরপর তিনি হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ (WhatsApp Message) পাঠালেও কোনও জবাব আসেনি। এদিকে প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানায়, রাত ১২:৩০ নাগাদ অর্ডার দেওয়া খাবার পেয়ে গিয়েছিলেন ওই চিকিৎসক। এরপর আরও ৪ জন জুনিয়র চিকিৎসকের সঙ্গে সেই খাবার খান। একইসঙ্গে নীরজ চোপরার জ্যাভলিন থ্রো দেখেন।
যদিও মৃতার মায়ের কথায়, তাঁর মেয়ের স্পোর্টসে কোনও আগ্রহ ছিল না। তাঁর কথায়, ‘মেয়ে কখনও খেলা দেখতো না। সেদিন বসে বসে জ্যাভলিন থ্রো দেখল আর ওকে (মেয়ের বাগদত্তা) কোনও জবাব দিল না, এটা মেনে নিতে পারছি না’। অন্যদিকে সিবিআইয়ের (CBI) নজরে রয়েছে আত্মীয়কে পাঠানো মৃতার একটি মেসেজও।
নিহত চিকিৎসকের বাবা (RG Kar Case) বলেন, তাঁর এক ভাগ্নে একজনের জন্য সার্টিফিকেটের বন্দোবস্ত করে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সেই মেসেজের জবাবে শুধু পাঠানো হয়েছিল, ‘না রে’। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, এই মেসেজের দিকেও নজর রয়েছে সিবিআইয়ের। ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে আনলক করা যেত তরুণী চিকিৎসকের মোবাইল ফোন। তাই এই মেসেজ পাঠানোর জন্য অন্য কোনও উপায় ব্যবহার করা হয়েছিল কিনা গোয়েন্দারা সেটাও খোতিয়ে দেখছেন।