বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর ইস্যুতে তৃণমূলের চাপ ক্রমেই বাড়ছে। মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। যা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলকাতা, হাওড়ার নানান অংশ। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি শোনা যায় বহু আন্দোলনকারীর (RG Kar Case) মুখে। এবার শাসক দলের চাপ বাড়িয়ে বিরাট ঘোষণা করলেন রায়গঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী।
আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) ন্যায়বিচার না হলে ইস্তফার ঘোষণা!
তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ, খুনের ঘটনার পর শান্তনু সেন, সুখেন্দুশেখর রায় সহ তৃণমূলের বেশ কয়েকজন হেভিওয়েটের গলায় শোনা গিয়েছে ‘অন্য সুর’। এবার সেই তালিকায় নাম তুললেন কৃষ্ণ কল্যাণী (Krishna Kalyani)। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন রায়গঞ্জের নবনির্বাচিত বিধায়ক। লেখেন, ‘যদি আরজি কর ইস্যুতে জাস্টিস না হয় সবার আগে দায়িত্ব নিয়ে বললাম আমি ইস্তফা দেব’।
এরপর বাংলাকে অশান্ত না করার আর্জি জানিয়ে কৃষ্ণ কল্যাণী লেখেন, ‘দয়া করে বাংলাকে অশান্ত করবেন না বিজেপি, কংগ্রস, সিপিএম। এর উস্কানিতে পা এগোবেন না। জয় বাংলা… বাংলাকে বাঁচান… আমাদের পরিবারকে বাঁচান… ঈশ্বরকে ধন্যবাদ’।
আরও পড়ুনঃ লালবাজারের পথে বিজেপি! ছাত্র আন্দোলনকারীকে মুক্তির দাবিতে মিছিল সুকান্ত মজুমদারের
আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) নির্যাতিতা ন্যায়বিচার না পেলে কৃষ্ণ কল্যাণী ইস্তফার কথা ঘোষণা করলেও এই নিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক শংকর ঘোষ বলেন, ‘ওনাকে পদত্যাগ করতে হবে না। মানুষ জেগে উঠেছে। এমনিতেই এই সরকারের পতন হবে। আর ওনার মতো দলবদলুদের কোনও গ্রহণযোগ্যতা জন সাধারণের মধ্যে নেই। এসব লিখে সহানুভূতি পাওয়া যাবে না’।
অন্যদিকে কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘তৃণমূলে অনেকের দম বন্ধ হয়ে আসছে। তাঁরা এখন সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছেন। আরজি করের এই অবস্থা তো আজ নয়। কৃষ্ণ কল্যাণীর নিজের দলকে জিজ্ঞেস করা উচিত, এমন কেন হল? আরজি কর কাণ্ডের দায় খানিকটা হলেও কৃষ্ণ কল্যাণীর ঘাড়ে বর্তায়’।