বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ড (RG Kar Case) নিয়ে গত আগস্ট মাস থেকে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার রেশ রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে। এবার এই মামলাতেই ৩৫টি প্রশ্ন তুলে ফের তদন্তের আর্জি জানাল নির্যাতিতার পরিবার। জানা যাচ্ছে, সিবিআই তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে নতুন করে শিয়ালদহ আদালতের (Sealdah Court) দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।
আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) বড় মোড়!
নির্যাতিতার পরিবারের প্রশ্ন, ঘটনার দিন রাতে যে ৪ জন ডাক্তারের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেছিলেন তিলোত্তমা, তাঁদের কেন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল না? কোথায় খাওয়াদাওয়া হয়েছিল? ফুড ডেলিভারি সংস্থার তরফ থেকে যে কন্টেনারে করে খাবার ডেলিভার করা হয়েছিল, সেটা কোথায়? ফুড ডেলিভারি সংস্থার কাউকে কেন জেরা করা হল না? তড়িঘড়ি কেন সেমিনার রুমের সংলগ্ন অংশ ভাঙা হচ্ছিল? ক্রাইম সিনের সংলগ্ন অংশ যে তড়িঘড়ি ভাঙা হচ্ছিল, সেটার তদন্ত কোথায়?
আরজি করের (RG Kar Case) নির্যাতিতার পরিবারের তরফ থেকে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও বেশ কিছু প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তিলোত্তমার পরিবারের অভিযোগ, কোন কারণে এফআইআর দায়ের করায় দেরি? সেটা নিয়ে তদন্ত করা হয়নি। সেই সঙ্গেই নিহত তরুণী চিকিৎসকের তড়িঘড়ি দেহ সৎকার নিয়েও তদন্ত হয়নি বলে অভিযোগ। কেন পরিবারকে মেয়ের নিথর দেহ দেখতে দেওয়া হয়নি? প্রশ্ন তুলেছে তিলোত্তমার পরিবার।
আরও পড়ুনঃ ৯টা থেকে ৪টে…! রাতের ঘুম উড়ল ডাক্তারদের! কড়া নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর
কয়েকদিন আগে আরজি কর ধর্ষণ খুন মামলায় জামিন পেয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তবে গ্রেফতারির ৯০ দিনের মধ্যে তদন্তকারী সংস্থা চার্জশিট দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাঁদের জামিন দিয়ে দেয় আদালত। এরপরেই নতুন করে তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় নির্যাতিতার পরিবার।
তিলোত্তমার (RG Kar Case) মা-বাবার প্রশ্ন, ক্রাইম সিনে ধস্তাধস্তির কোনও রকম চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তাহলে কি ক্রাইম সিন সাজানো হয়েছিল? কেন আরজি করের ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সদস্য বিরূপাক্ষ বিশ্বাস এবং অভীক দে? স্থানীয় বিধায়ক এবং কাউন্সিলারের নজরদারিতে কেন তড়িঘড়ি মৃতদেহ সৎকার করা হয়েছিল? কেন ঘটনার রাত (৮ আগস্ট) ১১টার পর থেকে সিসিটিভি ফুটেজ তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে দেওয়া হয়নি? এমনই নানান প্রশ্ন তুলে নতুন করে তদন্তের আর্জি জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার।