ধর্ষণ খুনে অভিযুক্ত! সঞ্জয়কে সামনে দেখে চিনতেই পারলেন না নির্যাতিতার বাবা! বললেন…

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোমবার থেকে আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার (RG Kar Case) বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রথম সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে নিহত চিকিৎসকের বাবার। রিপোর্ট বলছে, গতকাল সাক্ষ্য দেওয়ার সময় চোখ ছলছল করে ওঠে, গলা ধরে আসে তাঁর। সেই ভাবেই নিজের বয়ান দেন নির্যাতিতার বাবা।

  • সঞ্জয়কে দেখে চিনতেই পারলেন না নিহত চিকিৎসকের বাবা (RG Kar Case)!

জানা যাচ্ছে, গতকাল আদালতে প্রথমবারের মতো অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে (Sanjay Roy) সামনে থেকে দেখেন নির্যাতিতার বাবা। একটি নামি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি নাকি অভিযুক্তকে চিনতেই পারেননি। সাক্ষ্য দিয়ে আদালত থেকে বেরিয়ে আসার সময় এক আইনজীবীকে একথা বলেন বলে খবর।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন অনুসারে, আরজি করের (RG Kar Case) নির্যাতিতার বাবা বলেন, এতদিন অবধি নানান সংবাদমাধ্যমে অভিযুক্তের অনেক ছবি দেখেছেন। তবে এদিন আদালতে প্রথমবার সামনাসামনি দেখলেন। এতদিন সংবাদমাধ্যমে যে যে ছবি দেখেছেন, তার সঙ্গে এদিন সঞ্জয়ের চেহারা মেলাতে পারেননি বলে দাবি করেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ তরুণের স্বপ্ন নিয়ে বড় খবর! ট্যাবের টাকা বিভ্রাট হতেই বিরাট সিদ্ধান্ত নবান্নের … তোলপাড় রাজ্য!

রিপোর্ট বলছে, গতকাল সোদপুরের বাড়ি থেকে নির্যাতিতার বাবাকে গাড়ি করে নিয়ে যান সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা। তিনি একা ছিলেন না। তাঁর সঙ্গে একজন পারিবারিক বন্ধুও ছিলেন বলে খবর। গতকাল আদালতে নিহত চিকিৎসকের বাবাকে পাল্টা প্রশ্ন করেন অভিযুক্তের আইনজীবী। জানা যাচ্ছে, একমাত্র মেয়ের ওপর যে নির্যাতন হয়েছে, সেকথা বলতে গিয়ে আদালতে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন নির্যাতিতার বাবা।

RG Kar case junior doctors protest

উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালের চারতলার সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ। পরবর্তীতে জানা যায় ধর্ষিতা হয়ে খুন হয়েছেন তিনি। এই মামলায় ইতিমধ্যেই প্রথম চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। সেখানে ধর্ষক খুনি হিসেবে ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের নাম ছিল বলে খবর। সোমবার থেকে এই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, শীঘ্রই এই মামলার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।


Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর