বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যত সময় গড়াচ্ছে আর জি কর (RG Kar) কর্মরত তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় (Doctor Rape and Murder Case) একাধিক প্রশ্ন সামনে উঠে আসছে। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্ট থেকে এই মামলা গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতে এই মামলা যেতেই প্রশ্নবাণে বিদ্ধ রাজ্য সরকার ও রাজ্য পুলিশ।
আরজি কর-কাণ্ডে এবার সুপ্রিম ‘নজরে’ এক মহিলা (RG Kar)
কেন খুন করা হয়েছিল তরুণী চিকিৎসককে? কোনোভাবে কী তাঁর মৃত্যুর আসল কারণ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে? ইতিমধ্যেই তিলোত্তমা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর কেউ এর সাথে যুক্ত আছে কিনা সেই নিয়ে চলছে তদন্ত। তবে এরই মাঝে সুপ্রিম শুনানিতে উঠে এসেছে এক মহিলার কথা।
তিলোত্তমা মামলার দ্বিতীয় শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিবলকে প্রশ্ন করে বিচারপতি পর্দিওয়ালা বলেন, ‘কে এই অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার? তিনি মহিলা না পুরুষ?’ উত্তরে একটু সময় নিয়ে সিব্বল বলেন, “তিনি একজন মহিলা।” এরপরই জাস্টিস পর্দিওয়ালা বলেন, “ওনার আচরণ অত্যন্ত সন্দেহজনক। ওনার এই রকম আচরণের পেছনে কারণ কী?”
যদিও অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের কোন আচরণের কথা বলা হয়েছে, সেই বিষয়ে বিচারপতি স্পষ্টভাবে কিছু উল্লেখ করেনি। উল্লেখ্য, ৯ অগস্ট সকালে তরুণী চিকিৎসকের বাড়িতে যখন প্রথম যে ফোন গিয়েছিল, তখন বলা হয়েছিল, তিলোত্তমা আত্মঘাতী হয়েছেন। পরিবার সূত্রেই জানা গিয়েছে সেই ফোন করেছিলেন হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার।
আরও পড়ুন: ফের বাড়ছে DA, কবে? এবার কত শতাংশ? সামনে ফাইনাল আপডেট
এখানেই প্রশ্ন উঠছে, কোনোভাবে হত্যার ঘটনাকে কী আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল? সূত্রের খবর, আরজি কর হাসপাতালে চার থেকে পাঁচজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার পদে রয়েছেন। সেই সকালে কে নির্যাতিতার বাড়িতে ফোন করেছিলেন, তা এখনও জানা যায়নি। কোনো নাম প্রকাশ করা হয়নি। শুধুমাত্র পদ বলা হয়েছে।