বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর শিরোনামে উঠে এসেছে ‘থ্রেট কালচার’এর বিষয়টি। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তারের বিরুদ্ধে এর অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে ৫১ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এবার এই জল গড়াল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) অবধি।
উচ্চ আদালতের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ সাসপেন্ডেড জুনিয়র ডাক্তাররা
আরজি করের অন্দরে ‘থ্রেট কালচার’এর অভিযোগ ওঠার পর একটি তদন্ত কমিটি তৈরি হয়। সেই তদন্ত কমিটি সবটা খতিয়ে দেখার পর ৫১ জনকে সাসপেন্ড করা হয়। এবার এই চিকিৎসকরাই সোজা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন। হাসপাতালের (RG Kar Hospital) সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করতে চেয়ে উচ্চ আদালতে গিয়েছেন তাঁরা।
জানা যাচ্ছে, হাইকোর্টের বিচারপতি পার্থসারথী সেনের (Justice Partha Sarathi Sen) দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এই সাসপেন্ডেড চিকিৎসকরা। ইতিমধ্যেই তাঁদের মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন জাস্টিস সেন। আগামী শুক্রবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
আরও পড়ুনঃ ‘মধ্যস্থতার দরকার নেই’! অনশন তোলার আর্জি পরম-অপর্ণাদের, সাফ বার্তা জুনিয়র ডাক্তারদের
উল্লেখ্য, বুধবার সকালে দফায় দফায় তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করেন প্রায় ১৫-২০ জন সাসপেন্ডেড অথবা বহিষ্কৃত জুনিয়র ডাক্তার। পুজো সম্পন্ন হলেই পাল্টা আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তাঁরা। এবার সামনে এল হাইকোর্টে যাওয়ার খবর।
এর আগে সাংবাদিক সম্মেলনও করেছিলেন আরজি করের সাসপেন্ডেড জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctors)। দাবি করেছিলেন, আসল তথ্য ও প্রমাণ লোপাট করিয়ে তাঁদের ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার তাঁরাই আন্দোলনের কথা বলছেন। তবে যারা সত্যি সত্যিই গরিব মানুষদের পরিষেবা দিতে ইচ্ছুক, তাঁদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
এবার পুজো মিটতে না মিটতেই জানা গেল, হাসপাতালের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সোজা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছেন এই জুনিয়র চিকিৎসকরা। আগামী শুক্রবার মামলার শুনানিতে কী হয় আপাতত সেদিকেই নজর রয়েছে সকলের।