‘জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে না যাওয়ায় ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে’, সুপ্রিম কোর্টে যা বললেন কপিল সিব্বল…

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এক মাস পার। আর জি কর ( RG Kar) মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (RG Kar-Supreme Court) স্টেটাস রিপোর্ট পেশ করল সিবিআই। পাশাপাশি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর তরফেও স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ দেননি। তাদের কর্মবিরতির জেরে এখনও পর্যন্ত  চিকিৎসা না পেয়ে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আদালতে দাবি করলেন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল।

এদিন আন্দোলনরত চিকিৎসকদের অবিলম্বে কাজে যোগ দেওয়ার কড়া নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শুধু তাই নয়, ডেডলাইনও বেঁধে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে বলে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘এর পরেও যদি কোনও চিকিৎসক কাজে যোগ না দেন, তাহলে সেই নিয়ে রাজ্য কোনও পদক্ষেপ করলে আমরা বাধা দিতে পারব না।’’ তবে আন্দোলনরত ডাক্তারদের প্রয়োজনীয় সুযোগসুবিধা জেনে পদক্ষেপ করার জন্য রাজ্যকে বলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট তরফে।

   

এদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলে। স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে এই মামলায় হস্তক্ষেপ করছে সুপ্রিম কোর্ট (RG Kar Doctor Death Case)। এর আগের শুনানিতে আর জি কর মামলার প্রতিবাদে চিকিৎসকরা যেন কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন সেই আবেদন জানায় সুপ্রিম কোর্ট।

RG Kar case

সুপ্রিম কোর্টের আবেদনের পর দিল্লি এইমস-সহ একাধিক হাসপাতালের চিকিৎসকরা কর্মবিরতি তুলে নেন। তবে আর জি করের প্রতিবাদী চিকিৎসকরা এখনও কাজে যোগ দেননি। কর্মবিরতির সিদ্ধান্তে অনড় থাকবেন বলেই জানিয়ে দেন তারা। হাসপাতালের নন এমার্জেন্সি সার্ভিস অর্থাৎ বহির্বিভাগে সমস্ত কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এবার তাদের আন্দোলন দমাতে মরিয়া রাজ্য।

 

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর