বাংলাহান্ট ডেস্ক: দীর্ঘ ৬ ঘন্টা জেরার পর অবশেষে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর (NCB) অফিস থেকে বেরোলেন রিয়া চক্রবর্তী (rhea chakraborty)। সুশান্ত মামলায় অভিযুক্ত রিয়ার বিরুদ্ধে মাদক সেবন এবং পাচার চক্রে জড়িত থাকার মতোও গুরুতর অভিযোগ এসেছে। রবিবার সকালে এই বিষয় নিয়েই NCB র তদন্তকারী অফিসারদের জেরার সম্মুখীন হন রিয়া।
টানা ৬ ঘন্টা জেরার পর অবশেষে NCB র অফিস থেকে ছুটি পেলেন রিয়া। তবে তাঁকে আগামী কাল ফের সমন পাঠানো হয়েছে। NCB র জয়েন্ট ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে জানান, আজ রিয়ার সঙ্গে পুরো প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ হয়নি। তাই কাল ফের তাঁকে হাজিরা দিতে হবে NCB র অফিসে।
অপরদিকে সম্প্রতি সর্বভারতীয় সংবাদ মাদ্যম সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, NCB র জেরায় রিয়া চক্রবর্তী স্বীকার করে নিয়েছে যে ভাই শৌভিকের মারফতই মাদক আনাতেন তিনি। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, NCB র জেরায় বাধ্য হয়ে রিয়া স্বীকার করেন শৌভিকের মাধ্যমেই মাদক আনাতেন তিনি।
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের কথাও স্বীকার করেন তিনি। তবে সেই মাদক কার জন্য আসত সে বিষয়ে মুখ খোলেননি রিয়া। কতটা পরিমাণ মাদক আনা হত, কোন উপায়ে আনা হত তাও জানাননি রিয়া।
Mumbai: Rhea Chakraborty has been summoned by the NCB tomorrow to join the investigation in #SushantSinghRajput death case. https://t.co/Dwarwj2Jyz
— ANI (@ANI) September 6, 2020
অপরদিকে ছেলে শৌভিকের গ্রেফতারির পর অবশেষে মুখ খুলেছেন রিয়ার বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘ভারতবাসীকে শুভেচ্ছা। আমার ছেলেকে গ্রেফতার করিয়েছেন আপনারা। আমি নিশ্চিত পরের পালা আমার মেয়ের। একটা মধ্যবিত্ত পরিবারকে ধ্বংস করে দিতে আপনারা সক্ষম হয়েছেন। অবশ্যই বিচারের খাতিরে এসবই ন্যায়সঙ্গত।’
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই মাদক চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় রিয়ার ভাই শৌভিক ও সুশান্তের হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকে গ্রেফতার করে NCB। শনিবার তাঁদের দক্ষিণ মুম্বইয়ের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পেশ করা হয়। শৌভিকের জামিনের দাবিতে আদালতে দলিল পেশ করেন রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানেশিন্ডে। কিন্তু NCBর তরফে জানানো হয় তাদের কাছেও শৌভিকের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
মাদক মামলায় জড়িত দুই মাদক কারবারী জায়েদ ও বসিতের বয়ানে শৌভিকের নাম রয়েছে। এছাড়া তাঁদের কল ডিটেলস ও লোকেশনও খতিয়ে দেখে NCB। সব মিলিয়ে শৌভিক যে মাদক চক্রে যুক্ত সেই বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে NCBর হাতে। ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪ দিন NCBর হেফাজতেই থাকবেন শৌভিক ও স্যামুয়েল মিরান্ডা। অন্যদিকে জানা গিয়েছে সুশান্তের পরিচারক দীপেশ সাওয়ান্ত মাদক কারবারীদের সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত।