বাংলাহান্ট ডেস্ক: ‘মহেশ ভাট (mahesh bhatt) আমার কাছে আমার বাবার মতো’, এমনটাই বক্তব্য রিয়া চক্রবর্তীর (rhea chakraborty)। সিবিআইয়ের সামনে হাজির হওয়ার আগে সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকার (interview) করেন রিয়া। সেখানে সুশান্ত সিং রাজপুত (sushant singh rajput) মামলা সংক্রান্ত একাধিক বিষয় নিয়ে মুখ খোলেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে উঠে আসে মহেশ ভাটের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের প্রসঙ্গও। রিয়ার সাফ কথা, মহেশ ভাট তাঁর বাবার মতো। রিয়া জানান, ৮ জুন সুশান্ত তাঁকে ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে যেতে বললে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। তাঁর প্যানিক অ্যাটাক এসে গিয়েছিল বলেও জানান রিয়া। তখন মহেশ ভাটের সঙ্গেই পরামর্শ করেছিলেন তিনি।
সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে রিয়া ও মহেশ।ভাটের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের কথা সকলেই জেনে গিয়েছেন। ৮ জুন তো বটেই, ১৪ জুন সুশান্তের মৃত্যুর দিনও মহেশ ভাটের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন রিয়া। পরিচালককে তিনি জানিয়েছিলেন, মুভ অন করে গিয়েছেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, “হ্যাঁ, মহেশ ভাট সাহাবের সঙ্গে আমি কথা বলেছিলাম কারন উনি আমার বাবার মতো। আমি বলেছিলাম, সুশান্ত আমাকে চলে যেতে বলেছে, আমি বিধ্বস্ত। উনি বলেছিলেন, বাবার কথা ভাবো আর বাড়ি ফিরে যাও। মানুষ এটাকে ভুল ভাবে নিয়েছে। আমাকে ওনার গার্লফ্রেন্ড বলা হচ্ছে। অথচ আমার বয়সী মেয়ে রয়েছে ওনার। আমার কি কারওর সঙ্গে পরামর্শ করারও অধিকার নেই?”
রিয়া আরও বলেন, মহেশ ভাট তাঁকে সুশান্তের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার কথা বলেননি, আর বললেও সম্পর্ক ভাঙত না। রিয়া দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে সম্পরৃকে আসার আগে থেকেই মহেশ ভাটকে চিনতেন সুশান্ত। পরিচালকের সঙ্গে দেখা করে নাকি খুব খুশিও হয়েছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, দাবি করেন, সুশান্ত নাকি তাঁর প্রতি উদাসীন হয়ে পড়েছিলেন। বারবার তাঁকে বাড়ি চলে যেতে বলতেন। রিয়ার নিজেরও মানসিক সমস্যা হচ্ছিল। তাঁর কথায়, “৮ জুন মনোবিদের সঙ্গে একটা থেরাপি সেশন ছিল আমার। ঠিক করেছিলাম সুশান্তের বাড়ি থেকেই কথা বলব। কিন্তু সুশান্ত বলল ওর দিদি আসছে তাই আগেই চলে যেতে হবে। আমি বললাম, মীতু দি আসুক তারপরেই তিনি যাবেন। সুশান্তের পরিবারের কেউই আমাকে পছন্দ করতেন না। সেটা অবশ্য এখন সবাই আরও ভাল করে বুঝতে পারছে।”
রিয়া জানান, ৮ জুনই সুশান্তের বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন তিনি। তাঁর অসুস্থতায় সুশান্ত পাশে থাকেননি বলে খারাপ লেগেছিল বলে জানান রিয়া।