বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ আইপিএলে (IPL) নাইটদের (KKR) জার্সিতে নিজের জাত চিনিয়ে ছিলেন। এরপর দেশের জার্সিতে দু একটি ম্যাচে মাঠে নেমে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছিলেন। কিন্তু আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ বা এশিয়ান গেমসে দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে রিঙ্কু সিং-এর (Rinku Singh) প্রতিভার যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি, এমন দাবি অনেকেই তুলছিলেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে (India vs Australia) চলতি সিরিজে বারবার ঠান্ডা মাথায় ম্যাচ ফিনিশ করে সেই সকল নিন্দুকদের কিছুটা চুপ করিয়েছেন তিনি। আইপিএল আর এখন ভারতীয় দলের (Indian Cricket Team) হয়ে তার ধারাবাহিকতা দেখে অনেকেই তার সঙ্গে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির (MS Dhoni) তুলনা করতে শুরু করে দিয়েছেন।
যে ম্যাচে টপ অর্ডার ব্যাটাররা ভালো ইনিংস খেলে বড় রানের ভিত গড়ে দিচ্ছেন, সেই ম্যাচে রিঙ্কু ফিনিশার হিসাবে ভয়ঙ্কর। ডেথ ওভারে তার ক্লিন হিটিং আগে থেকেই বিপক্ষের মনে ভয় তৈরি করছে। আর তাদের একটা ভুল পদক্ষেপের অর্থ হলো রিঙ্কুকে গ্যালারিতে বল পাঠানোর সুযোগ করে দেওয়া। অনেক তাকে এর মধ্যেই ধোনির উত্তরসূরি হিসাবে দেখতে শুরু করে দিয়েছেন।
এছাড়া রিঙ্কু যে নিজেকে শুধুমাত্র ফিনিশার হিসাবে দেখছেন, এমনটা একেবারেই নয়। চলতি সিরিজ এই চতুর্থ ম্যাচে যখন ভারত দ্রুত অনেকগুলো উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল তখন রিঙ্কুকে নিজের স্বাভাবিক সময় এর বেশ কিছুটা আগে ব্যাটিংয়ে নামতে হয়েছিল। ফিনিশার হিসেবে যে খেলা তার কাছে থেকে প্রতিনিয়ত সমর্থকরা দেখতে পান সেদিন প্রয়োজন ছিল অন্যরকম একটা ইনিংসের।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় চূড়ান্ত অপমান পাকিস্তানকে! এয়ারপোর্টে নেই কেউ, ট্রাক ডেকে কুলির কাজ করতে হলো বাবরদের
আর রিঙ্কু সেই পরিস্থিতিতে হতাশ করেননি। চোখ বুঝে আক্রমণ করার বদলে রিঙ্কু সেদিন ঠান্ডা মাথায় ভারতের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যান। ২৯ বলে ৪৬ রানের একটা ইনিংস রিংকু বুঝিয়ে দেন যে দরকার পড়লে দলের হাল ধরতেও তিনি সিদ্ধহস্ত। কিন্তু জাতীয় দলের প্রবেশ করার পর থেকেই এত অভিজ্ঞ ক্রিকেটার এর মতো কি করে খেলছেন রিঙ্কু?
আরও পড়ুন: হাতে নেই কোহলি বা রোহিত! দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে মান বাঁচাতে BCCI-এর সবচেয়ে বড় ভরসা এই তারকা
এর জন্য আইপিএলকেই কৃতিত্ব দিচ্ছেন ভারতীয় তারকা। সেখানে জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের সঙ্গে এবং বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ পেয়ে উপকৃত হয়েছেন রিঙ্কু। তিনি নিজেই বলেছেন, “আইপিএল খেলার পর আমার আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। কঠিন পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রেখে দলের সাহায্য করতে পারার বিষয়টা আমি ওখান থেকেই শিখেছি।”