বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত জানুয়ারি মাস থেকে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের (Shahjahan Seikh) একের পর এক কীর্তি সামনে আসছে। এবার শোনা যাচ্ছে, ঋষি অরবিন্দ মিশন পাড়ায় রয়েছে ‘শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাব।’ যার আগে নাম ছিল ঋষি অরবিন্দ ময়দান। তবে সেই নাম পাল্টে তবে তৃণমূলের গুণধর নেতার নামেই ওই চারিদিকে পাঁচিল ঘেরা ওই বিশাল মাঠ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ এমনটাই।
জানা গিয়েছে, এক সময় শাহজাহানের অনুগামীরা ওই মাঠে ফুটবল টুর্নাে আয়োজন করেছিল। তারপর থেকেই সেই মাঠের নতুন নামকরণ হয় সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শাহজাহানের নামে। মাঠের গেটে লেখা, শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২২! আর পাঁচিলে বড় বড় অক্ষরে লেখা ‘শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাব।’
এক স্থানীয় ব্যক্তি জানান, আগে ওই ক্লাব ছিল ঋষি অরবিন্দ ময়দান নামে। সেখানে স্টেডিয়াম হওয়ার কথা ছিল। তবে হঠাৎই তৃণমূল নেতা শাহজাহানের নামে নামকরণ করা হয়। এরম নাম বদলে দেওয়ায় মানুষজন ক্ষুব্ধ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে প্রতিবাদ জানানোর মত কারোর সাধ্য নেই। কারণ শেখ শাহজাহানই সেখানে শেষ কথা।
মাঠে আগে এক সময় এলাকার ছেলে-মেয়েরা সেখানে খেলাধুলা করতে আসলেও এখন সেই উপায় নেই। বর্তমানে মাঠের বেহাল দশা। খেলার উপযুক্ত পরিবেশ নেই। চারিদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ইট-পাথর। তারইমধ্যে গরু ছাগল চরে aবেড়াচ্ছে। তবে শাহজাহানের নামাঙ্কিত সেই মাঠে নাকি আগে গরু, ছাগলের প্রবেশও নিষিদ্ধ ছিল। কেন?
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শাহজাহানের ডান হাত শিবু ও তার দলবল জরিমানা ধার্য করেছিল যে এলাকার কারও গরু বা ছাগল ওই ‘ভাই’ এর ময়দানে ঢোকে তাহলেই মালিককে গুনতে হবে ৩০০-৪০০ টাকা জরিমানা। তবে এখন আর গবাদী পশুদের কোনও ভয় নেই। কারণ সদ্য গ্রেফতার হয়েছেন শিবু। তাই মনের আনন্দে সেই মাঠে চরছে গরু-ছাগল।
আরও পড়ুন: অবশ্যই সন্দেশখালি যেতে পারবেন শুভেন্দু, তবে…! বিরাট পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাই কোর্টের
গ্রামের লোকেরাই বলেন চারিদিকে সবুজে ঘেরাও ওই মাঠে এক সময় কলেজ হওয়ার কথা ছিল। তবে তিন বছর আগে মাঠের চেহারায় পাল্টে দেয় শিবুর দলবল। সব গাছ কেটে নেওয়া হয়। কারণ জানতে চাইলে বলা হয়, সেখানে স্টেডিয়াম হবে। তবে তা আর হয়নি। বদলে শুরু হয়, শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্ট। আর তার উদ্বোধনেই নাকি সেখানে পা রেখেছিলেন রেশন দুর্নীতিতে ধৃত তৎকালীন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও বিধায়ক নির্মল ঘোষ। বলে রাখা ভালো, রেশন দুর্নীতি মামলাতেই শাহজাহানকে হন্যে হয়ে খুঁজছে ইডি।