বাংলাহান্ট ডেস্ক: চলচ্চিত্র প্রেমী বাঙালির কাছে ঈশ্বর স্বরূপ সত্যজিৎ-মৃণাল-ঋত্বিক-তরুণরা। তাঁদের পরবর্তী সময়ে যে বাঙালি বাংলা চলচ্চিত্রকে অন্য রূপ দিয়েছিলেন তিনি ঋতুপর্ণ ঘোষ (Rituporno Ghosh)। তাঁর বানানো প্রতিটি ছবি আইকনিক হয়ে রয়ে গিয়েছে। আরো অনেক কাজ করতে পারতেন। বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে সমৃদ্ধ করা বাকি ছিল তাঁর। কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি চলে গেলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ, এ আক্ষেপ সহজে মেটার নয়।
ব্যক্তি ঋতুপর্ণ ঘোষের সবথেকে কাছের মানুষদের মধ্যে একজন ছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta)। কেজো সম্পর্কের বাইরে ডানা মেলেছিল তাঁদের রসায়ন। অভিনেত্রীর বিয়েতে নিজে হাতে কার্ড ডিজাইন করেছিলেন পরিচালক। চন্দনে চর্চিত করে সাজিয়েছিলেন নায়িকাকে।
দু দিন আগে ছিল ঋতুপর্ণ ঘোষের জন্মবার্ষিকী। সংবাদ মাধ্যমের হয়ে কলম ধরে এমনি সব স্মৃতিতে ডুবে গিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা। নিজের প্রত্যেকটা ছবিতেই গল্পের ছলে সম্পর্কের গভীরতাটা তুলে ধরেছিলেন পরিচালক। সেটা অন্য কেউ পারবে না বলেই বিশ্বাস অভিনেত্রীর।
নারী চরিত্রকে খুব গভীর ভাবে বুঝে সেভাবেই নিজের ছবিতে তুলে ধরতেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। ঋতুপর্ণার কথায়, তাঁর এখনো বিশ্বাস, নারীর মনকে ঋতুপর্ণ ঘোষ সবথেকে ভাল বুঝতেন। তিনিই ‘উৎসব’ ছবিকে প্রথম নিয়ে গিয়েছিলেন বিদেশে প্রদর্শনীতে। ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন ‘চল’ শুরু করেছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ।
একসঙ্গে মাত্র দুটো ছবিতে কাজ করেছিলেন তাঁরা। আরো একটি ছবি হতে পারত। কিন্তু তার আগেই ফাঁকি দিয়ে চলে যান ঋতুপর্ণ। অভিনেত্রী জানান, একটি চিত্রনাট্য পড়ে শুনিয়েছিলেন পরিচালক। অভিনয় করার কথা ছিল ঋতুপর্ণা, দেব এবং প্রিয়াংশু চট্টোপাধ্যায়ের।
এত সুন্দর একটা চিত্রনাট্য শেষমেষ ছবিতে রূপান্তরিত হল না, এ আক্ষেপ চিরদিন রয়ে যাবে ঋতুপর্ণার। এখনো যদি চিত্রনাট্যটা হাতে পেতেন তাহলে নিজের মতো করে কাজ শুরু করতেন বলেও জানান অভিনেত্রী।