বাংলাহান্ট ডেস্ক: রূপা গঙ্গোপাধ্যায় (Roopa Ganguly) যতই দাপুটে রাজনীতিবিদ হন বা অন্য ভূমিকা পালন করুন না কেন, তিনি সিংহভাগ দর্শকের কাছে এখনও মহাভারতের দ্রৌপদী হয়েই রয়ে গিয়েছেন। বি আর চোপড়ার মহাভারতে দ্রৌপদীর চরিত্রে তাঁর অভিনয় ভুলতে পারেননি কেউই। মাঝে দীর্ঘদিন ধরে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন বিনোদন দুনিয়া থেকে। বর্তমানে ছোটপর্দায় ফিরেছেন রূপা।
অভিনয় আর রাজনীতি একসঙ্গে সামলাচ্ছেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। তার মধ্যেই এক সাক্ষাৎকারে নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। নিজের ব্যক্তিগত জীবনেও বেশ প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে রূপাকে। দীর্ঘ ১৪ বছর সংসার করার পর বিবাহ বিচ্ছেদ হয় তাঁর। ১৯৯২ সালে পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ধ্রুব মুখার্জির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন রূপা। ২০০৭ এ তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। তারপর ২০০৯ সালে পাকাপাকি ভাবে আলাদা হয়ে যান তাঁরা।
এত বছর পর নিজের বৈবাহিক জীবন নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গেল অভিনেত্রীকে। তিনি বলেন, একজন পুরুষের পক্ষে তাঁর স্ত্রী সেলিব্রিটি এটা মেনে নেওয়া কঠিন। খোলা মনের মানুষ না হলে এটা মেনে নেওয়া যায় না। রূপা জানান, তিনি সকাল ৯ টার আগে আর রাত ১০ টার পরে কোনোদিন শুট টাইম রাখেননি। উপরন্তু শুটিং শেষ হতেই সোজা বাড়ি চলে আসতেন তিনি। মেকআপটুকুও তুলতেন না।
কথায় বলে, মেয়েদের মানিয়ে নিতে হয়। বিশেষত বিয়ের পর প্রায়ই এই কথাটা শুনতে হয় মেয়েদের। রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ও বিয়েটা টিকিয়ে রাখার জন্য কম চেষ্টা করেননি। স্বামীকে খুশি রাখতে যা যা করা সম্ভব সবটাই করেছিলেন। কলকাতায় স্বামীর সঙ্গে সুখে সংসার করতে নিজের অভিনয় পেশাকে পর্যন্ত বিদায় জানিয়েছিলেন তিনি।
এখানেই শেষ নয়। তিন তিনবার আত্মহত্যা করারও চেষ্টা করেছিলেন তিনি। ছেলের জন্মের আগে একবার নিজেকে শেষ করতে গিয়েছিলেন তিনি। মা হওয়ার পরেও আরো দুবার আত্মহত্যা করতে চেষ্টা করেছিলেন বলে নিজের মুখে জানিয়েছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। তবুও নিজের বিয়েটা টেকাতে পারেননি তিনি।