বাংলাহান্ট ডেস্ক: ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি উত্তর পর্ব’ (karunamoyee rani rasmoni) সিরিয়ালে ফের বড়সড় বদল। সিরিয়াল ছেড়ে দিলেন রাসমণির ছোটখুকি ‘জগদম্বা’ ওরফে রোশনি ভট্টাচার্য (roshni bhattacharya)। দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে এই চরিত্রে অভিনয় করছিলেন তিনি। দিতিপ্রিয়া রায়, গৌরব চট্টোপাধ্যায়ের মতো অভিনেতা অভিনেত্রীদের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই রোশনি সিরিয়াল ছেড়ে যাওয়ায় মন খারাপ সেটের সকলেরই।
খুব শিগগির বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন রোশনি। ইতিমধ্যেই বাগদান ও আইনি বিয়ে সেরে ফেলেছেন তিনি। চলতি বছরেই করবেন সামাজিক রীতিতে বিয়ে। তাই কিছুদিনের জন্য কাজ থেকে বিরতি। রবিবারই শেষবারের মতো জগদম্বা সাজলেন রোশনি। চ্যানেলের তরফে সেটে তাঁর শেষদিনের একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে।
চরিত্রটি সম্পর্কে অভিনেত্রী বলেন, “গত আড়াই বছর ধরে জগদম্বা চরিত্রে অভিনয় করছি আমি। চরিত্রটা গড়ে তোলা সহজ ছিল না। একদিকে চরিত্রটি যেমন তেজস্বী, তেমনি নিজের পরিবারের প্রতি দুর্বল, কিন্তু সেটাই তাঁর শক্তি। সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। নিজের পরিবারের কেউ করলেও।”
রোশনি আরো জানান, চরিত্রটি তাঁকে অভিনেত্রী হিসেবে অনেক কিছু শিখিয়েছে। তিনি চরিত্রটি ছেড়ে যাচ্ছেন ঠিকই, তবে সিরিয়ালে চরিত্রটি থাকছে। নতুন জগদম্বা রূপে আসছেন অভিনেত্রী মিমি দত্ত। এদিন টিমের সকলে মিলে কেক কেটে সিরিয়ালে রোশনির শেষদিন উদযাপন করা হয়। মন খারাপ ‘মা সারদা’ সন্দীপ্তা সেনেরও। জানালেন খুব মিস করবেন রোশনিকে।
https://www.instagram.com/p/CWX1cRqpA9N/?utm_medium=copy_link
এতদিন ধরে রোশনিকে দর্শক দেখে এসেছে জগদম্বার চরিত্রে। মিমিকে সেখানে মেনে নেওয়া প্রাথমিক ভাবে একটু কঠিন হবেই। অভিনেত্রী নিজেও সেটা বোঝেন। তাঁর কথায়, “চরিত্রটিতে রোশনি এতদিন অভিনয় করেছে। দর্শক খুব ভালবেসেছে ওকে। তাই চরিত্রটা আমার কাছে করা কঠিন। খুব আনন্দিত আবার উত্তেজিতও। খালি মনে হচ্ছে কতক্ষণে ফ্লোরে যাব, সহ অভিনেতা অভিনেত্রীদের সঙ্গে দেখা করব, কতক্ষণে জগদম্বা হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াব।”
https://www.instagram.com/tv/CWie4nyq_WI/?utm_medium=copy_link
সম্প্রতি রাসমণির শুটিংয়ের ফাঁকেই রোশনির জন্য আইবুড়োভাতের আয়োজন করা হয়েছিল রাসমণির সেটে। সিরিয়ালের গোটা টিম মিলে আইবুড়োভাত খাইয়েছিল পর্দার জগদম্বাকে। দেখা মিলেছিল পদ্ম, অন্নদা, দ্বারিকা, গণেশ, ইন্দু এবং গদাই ঠাকুরেরও।
মেকআপ রুমেই খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। বেশ এলাহি মেনুই করা হয়েছিল রোশনির জন্য। ছিল ভাত, বাসন্তী পোলাও, ডাল, ঝুরি আলুভাজা, চিংড়ির মালাইকারি, মাটন, চাটনি, দই মিষ্টি। পর্দার ছেলেকে মায়ের কপালে দইয়ের ফোঁটাও দিতে দেখা গিয়েছিল।