বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনার ভাইরাস (corona virus) মহামারীর কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, স্কুল ও কলেজ প্রায় তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। যদিও এর মধ্যে বেশ কয়েকটি রাজ্যের ফলাফলও ঘোষণা করা হচ্ছে, শনিবার মধ্য প্রদেশ (Madhya Pradesh) বোর্ডের দশম শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।
मुझे सरकार ने साइकिल दी थी जिसका मैंने अच्छे से इस्तेमाल किया। मैं हर दिन चार से साढ़े चार घंटे पढ़ा करती थी। मैं आगे चलकर IAS की तैयारी करना चाहती हूं: रोशनी भदौरिया, छात्रा https://t.co/aWQrqce8cS pic.twitter.com/SvXOsnlxrA
— ANI_HindiNews (@AHindinews) July 5, 2020
এই পরীক্ষায়, ১৫ বছর বয়সী দশম ছাত্রী রোশনি ভাদোরিয়া এক্সেলড, ৯৮.৭৫ শতাংশ পয়েন্ট স্কোর করে। কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার সাথে রোশনি ভাদুরিয়ার তার গ্রামের নাম আলোকিত করে প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠছে।
मध्य प्रदेश: हर रोज़ 24 किलोमीटर साइकिल चलाकर स्कूल पढ़ने जाने वालीं भिंड के अजनौल गांव की रोशनी भदौरिया ने 10वीं कक्षा में 98.5% अंक लाकर मध्य प्रदेश में 8वीं रैंक हासिल की है। pic.twitter.com/bjDCyC0d51
— ANI_HindiNews (@AHindinews) July 5, 2020
অন্য শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠেন রোশনি ভাদোরিয়া, পড়াশোনা শেষ করতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে, তাকে স্কুলে যাওয়ার জন্য ২৪ কিমি পথ ভ্রমণ করতে হয়েছিল। রোশনির গ্রামে কোনও বাস বা যানবাহনের সুযোগ না থাকায় তাদের এই দূরত্বটি বাইসাইকেল করে যেতে হত। ভিন্ডের অজনৌল গ্রামের বাসিন্দা রোশনি বলেন যে স্কুলে যাওয়ার জন্য তাকে প্রতিদিন চব্বিশ কিলোমিটার যাত্রা করতে হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, ‘সরকার আমাকে একটি সাইকেল দিয়েছে যা আমি ভাল ব্যবহার করেছি।’
দশম শ্রেণিতে ৯৮.৫% স্কোর করা রোশনী বলেছিলেন, ‘আমি প্রতিদিন চার থেকে সাড়ে চার ঘন্টা পড়াতাম। আমি পরে আইএএসের জন্য প্রস্তুতি নিতে চাই। আজানৌল গ্রামের রশনি ভাদোরিয়া দশম শ্রেণিতে ৯৮.৭৫% নম্বর অর্জন করে মধ্য প্রদেশে ৪ তম স্থান অর্জন করেছে। রোশনির বাবা পুরুষোত্তম ভাদোরিয়া বলেছেন যে, তিনি তার মেয়েকে নিয়ে গর্বিত। আমি তার জন্য বিদ্যালয়ে এবং অন্য যেকোন পরিবহণের সুবিধা সরবরাহ করার চেষ্টা করব।
তিনি আরও বলেন, অষ্টম শ্রেণি অবধি তাঁর মেয়ে অন্য স্কুলে পড়াশোনা করত, সেখান থেকে বাসে আসার ব্যবস্থা ছিল কিন্তু নবমীতে স্কুল পরিবর্তন করার পরে সে সাইকেল চালিয়ে যেতে শুরু করে। রোশনি তার বাড়ি থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে মেহগাঁওয়ের সরকারী বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।
এই বিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্য ট্যাক্সিের মতো অন্যান্য সুবিধা ছিল না তাই রোশনি বেশ কয়েকদিন ধরে সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যায়। আইএএস হতে চান রোশনী, পুরুষোত্তম ভাদোরিয়া বলেছিলেন যে তাঁর মেয়ে গ্রামের নাম উজ্জ্বল করেছে। তার এই কৃতিত্ব দেখে অজনল গ্রামের সমস্ত মানুষ খুশি।