বাংলা হান্ট ডেস্ক: শৌচাগারে পাশাপাশি রয়েছে দু’টি প্যান। কিন্তু লজ্জা নিবারণের জন্য মাঝে নেই কোনো দেওয়াল! এমন শৌচাগার কি কেউ কখনও দেখেছেন? তবে, না দেখে থাকলেও এবার ঠিক ওইরকমই এক শৌচাগারের সন্ধান মিলল এবার। শুধু তাই নয়, ওই শৌচাগার তৈরির খরচ সম্পর্কে জানলেও চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যাবে সবার। মূলত, এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি সামনে এসেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বস্তি (Basti) জেলা থেকে।
সেখানে কুদারহা গ্রাম পঞ্চায়েতের গৌরাধুন্ধা এলাকায় একটি কমিউনিটি টয়লেটের একটি ঘরেই দু’টি প্যান বসানো হয়েছে। কিন্তু, অদ্ভুতভাবে সেখানে বানানো হয়নি কোনো দেওয়াল। এমতাবস্থায়, এই খবর সামনে আসতে হতবাক হয়েছেন অধিকারিকরাও। ইতিমধ্যেই ওই শৌচাগারের ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল ভাইরাল হতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, BDO-র তরফে তদন্তকারী দল পাঠিয়ে বিষয়টির সত্যতা বিচার করা হয়। আপাতত, এই কাজে যুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য যে, কুদারহা ব্লকটি জেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সেখানে এহেন শৌচাগার দেখে স্তম্ভিত হয়েছেন সকলেই। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই শৌচাগার নির্মাণে ১০ লক্ষ টাকা খরচ হয় বলেও জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, এই কমিউনিটি টয়লেটের নির্মাণ কাজ ২০২০ সালেই সম্পন্ন হয়েছিল।
এমতাবস্থায়, ২০২০ সালের ১৫ জুলাই ওই শৌচাগারের প্রথম কেয়ারটেকার সুধা দেবী জানিয়েছিলেন যে, সেই সময় থেকে ওই দু’টি প্যান ঐভাবেই স্থাপন করা রয়েছে। পাশাপাশি, বর্তমান কেয়ারটেকার গির্জা দেবী, সাফাই কর্মী মুকুন্দ নাথ, মাধুরী দেবী, মীনা দেবী, রাম যজ্ঞ এবং প্রধান প্রতিনিধি জয় সিং জানিয়েছেন যে, আধিকারিকদের এই বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই অসঙ্গতির কারণে আজ পর্যন্ত এটির ব্যবহার শুরু করা যায়নি বলেও জানান তাঁরা।
এদিকে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার বর্ষা বং জানিয়েছেন, বিষয়টি জানাজানি হতেই তদন্তকারী দলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। সেখানে বিষয়টি সঠিক বলে জানতে পারা গিয়েছে। এমতাবস্থায়, যে পঞ্চায়েত সেক্রেটারির আমলে এই শৌচাগার নির্মাণের টাকা আসে তাঁর বিরুদ্ধে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।