বাংলাহান্ট ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে যেদিন ২১ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল সেদিনই খোঁচা দিয়েছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh), ‘দুয়ারে গর্ত’। পার্থ-অর্পিতার গ্রেফতারির পর স্বরচিত কবিতার ছত্রে ছত্রে আক্রমণ শানিয়েছিলেন রাজ্যের শাসক দলের উদ্দেশে। সরাসরি আওয়াজ তুলেছিলেন, ‘ও দিদিভাই জবাব দিন’!
দিন কয়েক পরে আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। শুধু স্থান আর টাকার পরিমাণটা আলাদা। অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ২৮ কোটি টাকা, সোনার গয়না, সোনার বাট, পেন, রূপোর বাটি আরো কত কিছু। টাকার অঙ্ক গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ কোটিতে! অথচ অদ্ভূত ভাবে নিশ্চুপ বুদ্ধিজীবীরা। রুদ্রনীদের কলমের নিশানায় এলেন এবার এই তথাকথিত ‘বুদ্ধিজীবীরাই’।
কারোর নাম না করেই অভিনেতা তথা বিজেপির তারকা সদস্য সুর চড়ালেন, লেখক-কবিরা আজ চুপ কেন? ঘুমিয়ে গেলেন নাকি? ভাতা পেয়ে দাতার ভয়ে লজ্জা পাওয়া বাকি! সেই চেনা সাদা কালো ভিডিওতে ক্যামেরার সামনে বসে নিজের লেখা ব্যঙ্গাত্মক কবিতা আওড়ালেন রুদ্রনীল। তাঁর অভিযোগ, এই বুদ্ধিজীবীরা সুর চড়ালে, প্রতিবাদ করলে বগটুই, হাঁসখালি হত না। আনিস খানকে মারার আগেও দুবার ভাবত হত্যাকারীরা।
রুদ্রনীল বলেন, রাজ্যের মানুষ ভাবছে বুদ্ধিজীবীরা বিকিয়ে গিয়েছে। ভাতা, চেয়ারের লোভে শিড়দাঁড়া বিক্রি করে দিয়েছেন লেখক কবিরা। নয়তো কিছুদিন আগেও বঙ্গ সম্মানের মঞ্চে দেখা গিয়েছে বুদ্ধিজীবীদের, হাসিমুখে পুরস্কার নিতে। আজ সেই বঙ্গভূষণরা চুপ কেন? প্রশ্ন রুদ্রনীলের। তাঁরা প্রমাণ দিক যে বিক্রি হয়ে যাননি, চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন অভিনেতা।
এর আগের বারেই রুদ্রনীল দাবি করেছিলেন, এটা তো সবে শুরু। ২০ কোটি দিয়ে পতনের সূচনা হল। ১০০ কোটিতে গিয়ে দাঁড়ালেও কেউ চমকাবেন না যেন। রুদ্রনীলের দাবি, এই সরকারের পতন এবার অনিবার্য। নীল সাদা রঙ ধুয়ে যাবে, কাউন্টডাউন শুরু হচ্ছে।