বাংলাহান্ট ডেস্ক: প্রায় রোজ রোজ নাটকীয় পরিস্থিতি রাজ্য রাজনীতিতে। প্রথমে এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার, গ্রেফতার পার্থ-অর্পিতা। নিত্য নতুন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। তার মধ্যেই সক্রিয় সিবিআই (CBI)। দশ বার সমন পাঠানোর পরও হাজিরা না দেওয়ায় বাড়ি থেকেই অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) তুলে এনেছে সিবিআই। জমজমাটি নাটক নিয়ে প্যারোডিও বেঁধে ফেললেন রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)।
বৃহস্পতিবার রাখি উৎসব। রাজ্য জুড়ে খুশির আমেজের মাঝে মুখভার ‘কেষ্ট’র। এদিন সকাল থেকে পেট্রাপোল সীমান্তে ছিলেন রুদ্রনীল। রাখি বন্ধন উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। বোলপুরে অনুব্রতকে সিবিআই পাকড়াওয়ের খবর পেতেই সংবাদ মাধ্যম ছেঁকে ধরে বিজেপির তারকা সদস্যকে।
চিরাচরিত ঢংয়ে প্যারোডি বেঁধে রুদ্রনীল বলেন, “অনুমাধব অনুমাধব তোমার বাড়ি যাব। আজ রাখির দিনে রাখি কি কেউ পাবো?” সেই সঙ্গে দুঃখও প্রকাশ করেছেন তিনি, দিদির কাছ থেকে রাখি পরে যেতে পারলেন না। এটা সত্যিই খুব দুঃখজনক।
পাশাপাশি রুদ্রনীলের চিন্তা, পশ্চিমবঙ্গের জেলে তো এত জায়গা নেই। তাই পড়শি রাজ্যের জেলে যদি জায়গা করে দেওয়া হয় তাহদে পার্থ আর অনুব্রত রাখি নিয়ে আলোচন করতে পারেন। তারপরেই সুর গম্ভীর করে রুদ্রনীল বলেন, রাখির দিনে এমন ঘটনা খুব একটা গৌরবের নয়। বাংলার মানুষ এখন সমবেত হয়েছেন। শাসক দলের নেতাদের লজ্জা থাকলে তাঁরা ডোরাকাটা পোশাক, হাওয়াই চটি পরুন। আংটি খুলে, সাবান মেখে আলিপুর বা প্রেসিডেন্সি জেলে চলে যান।
রুদ্রনীলের ‘অনুমাধব’ প্যারোডি আগেও শোরগোল ফেলেছিল। নাম না করে বোলপুরের ‘কেষ্ট’কে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। গোরু পাচার মামলায় অনেকদিন ধরেই সিবিআইয়ের নজরে রয়েছেন তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা। এর আগে এই মামলায় সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দেওয়ার জন্য ১০ টি নোটিস পাঠানো হয়েছিল তাঁকে।
কিন্তু প্রতিবারই শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়েছেন অনুব্রত। তাই রাখির দিনেই অ্যাকশনে নামলেন সিবিআই আধিকারিকরা। এদিন আধাসেনা সঙ্গে নিয়ে বোলপুরে অনুব্রতর বাড়ি পৌঁছান সিবিআই আধিকারিকরা।
বাড়ি তল্লাশির পাশাপাশি তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। কিন্তু তিনি জেরায় অসহযোগিতা করেছেন বলেই খবর। অ্যারেস্ট মেমোয় সইও নাকি করানো যায়নি তাঁকে দিয়ে। আপাতত অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অনুব্রতকে।