বাংলা হান্ট ডেস্ক : কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) জোকা যাওয়ার ইস্যুকে ব্যঙ্গ করে কবিতা লিখলেন রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)। সেই কবিতা আবার সর্বসম্মুখে পাঠ করেও শোনালেন তিনি। কবিতার ছন্দে উঠে এল, SSKM হাসপাতালের নাম। উঠে এল শিশু বিভাগে কাকুর ভর্তি হওয়ার ঘটনা। সেই সাথে তিনি ছাড়লেননা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Mamata Banerjee)। আর তারপর থেকেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। কী এমন লিখলেন তিনি?
রুদ্রনীল তার কবিতা শুরুই করেছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুকে দিয়ে। এতদিন ধরে এত ফন্দি ফিকির এঁটেও যে কোনও লাভ হলনা সেটাই বলেছেন তিনি। উল্লেখ্য, বিগত প্রায় চার মাস ধরেই কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করার চেষ্টা করছেন ইডি আধিকারিকরা। তবে এতদিন একটার পর একটা বাহানা দেখিয়ে তা এড়িয়ে চলছিলেন তিনি। সেই প্রসঙ্গেই রুদ্রনীল তার কবিতায় বলেছেন, ‘মাস চারেকের চলল নাটক, বাঁচাতে এক গলা। পিজি নিজের নাম ডোবালো, কাকু বাঁচাও খেলা’।
এখানেই শেষ নয়। এইদিন রুদ্রনীলের নিশানায় ছিল রাজ্যের স্বনামধন্য হাসপাতাল এসএসকেএম। তিনি বলেন, যে পিজিতে ভর্তি হওয়ার জন্য গরিব মানুষ কেঁদে মরে। সেই পিজিতেই এতদিন ধরে পা নাচিয়ে আরাম করছিলেন কালীঘাটের কাকু। এমনকি রাজ্যর লক্ষ লক্ষ মানুষ, যারা তাদের হকের চাকরির জন্য দিনের পর দিন লড়াই করে চলেছে সেই তদন্ত অবধি ঝুলে গেল এই কাকুর কারণে। এমনকি এই গোটা বিষয়ে পিজিরও মদত রয়েছে বলে ইশারা রুদ্রনীলের।
আরও পড়ুন : আজ নয় জন্মদিন, তবুও শহরজুড়ে সাজো সাজো রব! কবে জন্মেছিলেন মমতা? জানান নিজেই
অভিনেতার কথায়, ‘পিজির কিছু ডাক্তাররা পিসির কথায় চলে।’ এরপরেই রুদ্রনীলের কটাক্ষ, ‘চরকি নাচন নাচল ইডি, খাটলো অনেক দণ্ডি। অবশেষে বিচারপতি চটকে দিলেন পিণ্ডি। এমন তিনি নিদান দিলেন পিজি থেকে টেনে, চোর কাকুরই ভয়েস চুরি একদম আইন মেনে। বাপেরও যে বাপ থাকে দেখল তা বাংলা। সবার উপর চোর সত্য, সবার উপর কোর্ট সত্য, তাহার উপর নাই। কোর্টের অর্ডার ভাঙল বর্ডার। ছুটল ইডি পিজি। পাঁজাকোলা হল কাকু, পুরো ঘেঁটে হিজিবিজি।’
এরপরেই রুদ্রনীলের সংযোজন, ‘অবশেষে মাঝ রাতে জোকাতে সাসপেন্স। ভয়েস নিয়ে ফের পিজিতে ফিরল অ্যাম্বুলেন্স। বারে বারে যে ঘুঘুতে পিজিতে খায় ধান। চোর কাকুকে বাঁচাতে প্রাণ আনচান।’ এতটুকুতেই কি থামলেন তিনি? নাহ্, এরপরেও গোটা কবিতা জুড়ে রাজ্যের শাসকদল এবং সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে চাঁচাছোলা ভাষায় ধুয়ে দিলেন তিনি। চাকরিপ্রার্থীদের দুঃখ কষ্টের কথাও উঠে এল তার কবিতায়। উঠে এল নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে পার্থ, মানিক সকলের নাম।
আরও পড়ুন : বিপুল অঙ্কের নগদ টাকা সহ বেআইনি অস্ত্র! হানা দিতেই বড় সাফল্য পেল ED, তোলপাড় রাজ্য
যদিও নাম এদের নিলেও রুদ্রনীলের ইশারা যে অন্য কারোর দিকেই ছিল সেকথা তার কবিতা থেকেই স্পষ্ট। বেশ স্পষ্ট ভাষাতেই উঠে এল রাঘব বোয়ালদের প্রসঙ্গ। রাজনৈতিক কারবারিদের মতে, রুদ্রনীলের এই রাঘব বোয়াল যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক ব্যানার্জিই, তাতে কোনও দ্বিমত নেই। সবশেষে তিনি এটাও বললেন যে, বাংলার লক্ষ লক্ষ ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ যারা নষ্ট করেছে তারা কেউই পার পাবেনা। এখন এই বোমাসম কবিতার জের ঠিক কোথায় পৌঁছায় সেটা তো সময়ই বলবে।