বাংলাহান্ট ডেস্ক: রুপঙ্কর বাগচীকে (Rupankar Bagchi) নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কিন্তু গান গাওয়াও থামাচ্ছেন না শিল্পী। একাধিক বার গান চুরির অভিযোগ উঠছে তাঁর বিরুদ্ধে। কখনো জনপ্রিয় হিন্দি গানের সুর চুরির অভিযোগ, আবার কখনো ইউটিউবারের গাওয়া গান আবার গেয়ে বিতর্কে জড়াচ্ছেন রূপঙ্কর। তবে সেসব বিতর্ক, ট্রোল থেকে নিজেকে জোর করে সরিয়ে রাখার চেষ্টায় রয়েছেন জাতীয় পুরস্কারজয়ী শিল্পী।
গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকটি গানের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন রূপঙ্কর। তালিকায় সাম্প্রতিক তম সংযোজন ‘লাইক গীতি’। যে সোশ্যাল মিডিয়ায় দিনরাত মুখ ঝামটা খাচ্ছেন, অপমানিত হচ্ছেন সেই সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়াই উঠে এল রূপঙ্করের নতুন গানে।
সোশ্যাল মিডিয়ার অপরিহার্য অঙ্গ লাইক বাটন। এখন অবশ্য আরো অনেক রিয়্যাকশন যোগ হয়েছে তালিকায়। তবে লাইকই হল নেটপাড়ার সবথেকে পুরনো বাসিন্দা। গানের লেখক শাশ্বত রায়ের দাবি, এই ধরনের গান এই প্রথম লেখা হয়েছে। সুর দিয়েছেন জন্টি চক্রবর্তী। আর গেয়েছেন রূপঙ্কর।
মিউজিক ভিডিওটির ইউটিউব লিঙ্ক সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন গায়ক। কিন্তু প্রশংসার বদলে উড়ে এসেছে ব্যঙ্গ। কারোর প্রশ্ন, ‘হু ইজ রূপঙ্কর?’ কেউ আবার ‘তোতলা’ বলে কটাক্ষ করেছেন।
একজন তীব্র খোঁচা দিয়ে লিখেছেন, ‘এটা নিজের তো? না অন্যের থেকে কেড়ে নিয়ে নিজের নাম দিয়ে চালানো? আজকাল তো আবার কেকের মত একজন বিশ্ববিখ্যাত শিল্পীকে জঘন্য ভাবে ছোট করছেন, অপমান করছেন তারপর অন্যের কেড়ে নিয়ে নিজের নামে চালাচ্ছেন.. আপনি তো কেকে স্যারের থেকে নিজেকে অনেক বড়ো মাপের শিল্পী বলেন.. আজ অন্যের গান কেড়ে নিজের নামে গাইছেন কেন? ঠিক এখানেই কেকে স্যার আর আপনার তফাৎ, শিরদাঁড়ায়-মানসিকতায়- শিল্পীসত্তায়। তফাৎটা ছিল, আছে, সারাজীবন থাকবে।’
আসলে কিছুদিন আগেই মনোরমা নামে এক সঙ্গীতশিল্পী অভিযোগ করেন, তাঁর গাওয়া গান চুরি করে রূপঙ্করকে দিয়ে গাওয়ানো হয়েছে। গায়ককে বিষয়টা জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।