বাংলা হান্ট ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে রেলের (Indian Railways) পরিষেবাকে আরও উন্নত এবং গতিশীল করে তোলার ক্ষেত্রে একের পর এক বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার (Government)। সেই রেশ বজায় রেখেই এবার একটি বড় খবর সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) গত বুধবার লোকসভায় জানিয়েছেন, বন্দে ভারত (Vande Bharat Express) ট্রেনগুলিকে ১১০ কিলোমিটার থেকে ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে কিংবা ১৩০ কিলোমিটারেরও বেশি গতিতে চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলিতে ট্র্যাক বরাবর নিরাপত্তা বেষ্টনী অর্থাৎ ফেন্সিং উপলব্ধ করা হবে।
মূলত, বিজেপি সাংসদ ঘনশ্যাম সিং লোধির একটি প্রশ্নের লিখিত জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, “ভারতীয় রেলের দ্বারা নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।” লোধি জানতে চেয়েছিলেন, “বন্দে ভারত ট্রেনের উচ্চ গতির পরিপ্রেক্ষিতে কিভাবে রেলপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে?”
এই প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে রেলমন্ত্রী বলেন, “ট্র্যাকের পরিদর্শন, রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামতের জন্য রেলের একটি সেট সিস্টেম রয়েছে।” এছাড়াও, তিনি আরও জানান যে, ওই সিস্টেমটি আধুনিক ট্র্যাক পরিকাঠামো, রেলপথের নজরদারি এবং ত্রুটিগুলি শনাক্ত করতে রেলের আল্ট্রাসনিক ত্রুটি শনাক্তকরণ পরীক্ষা এবং ট্র্যাক রক্ষণাবেক্ষণের যান্ত্রিকীকরণের মতো পদক্ষেপের একটি তালিকা প্রদান করে।
আরও পড়ুন: অবশেষে ছিঁড়ল ভাগ্যের শিকে! ৪,১০০-রও বেশি চাকরিপ্রার্থীকে শিক্ষক পদে নিয়োগ করল রাজ্য
অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, “একটি ন্যূনতম মান হিসেবে ১১০ কিমি প্রতি ঘন্টা থেকে ১৩০ কিমি প্রতি ঘন্টার গতির জন্য এবং ১৩০ কিমি প্রতি ঘন্টারও বেশি গতিতে চলাচলে সক্ষম সমগ্র ট্র্যাকের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানের জন্য নিরাপত্তা বেষ্টনীর বিষয়টি নির্ধারণ করা হয়েছে।” এদিকে, যে রেল ট্র্যাকগুলিতে বন্দে ভারত ট্রেনগুলি চলছে সেই ট্র্যাকে অসামাজিক কর্মকাণ্ডের বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন লোধি।
আরও পড়ুন: GPS সিস্টেমকে কাজে লাগিয়ে আদায় হবে টোল ট্যাক্স, শুরু কবে থেকে? জানিয়ে দিলেন গড়করি
এই বিষয়ে রেলমন্ত্রী জানান, “২০২৩ সালে (নভেম্বর পর্যন্ত), এমন চারটি ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে এবং এই মামলায় যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ” বৈষ্ণব বলেন, রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স (RPF) GRP/জেলা পুলিশ এবং সিভিল প্রশাসন একে অপরের সাথে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে নিরাপদ ট্রেন অপারেশন নিশ্চিত করতে বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়।