বাংলাহান্ট ডেস্ক: মাদক (drugs) মামলায় নাম জড়ানোর পর থেকেই প্রতিটা মুহূর্ত উৎকণ্ঠায় খাটছে সারা আলি খানের (sara ali khan)। ইতিমধ্যেই নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর সমন পেয়ে জেরার মুখোমুখি হন অভিনেত্রী। NCBর অফিসে একা গেলেও এই মুহূর্তে মা অমৃতা সিং (amrita singh) ও ভাই ইব্রাহিম ছাড়া আর কেউই নেই সারার পাশে। বাবা সইফ আলি খান (saif ali khan) আগেই দিল্লি পাড়ি দিয়েছেন দ্বিতীয় স্ত্রী করিনাকে নিয়ে।
এবার শোনা গেল মেয়ের এই দুরবস্থার জন্য নাকি প্রাক্তন স্ত্রী অমৃতা সিংকেই দুষছেন সইফ। মায়ের জন্যই নাকি মেয়ের এই দুর্দশা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। এর আগে জানা গিয়েছিল, সমন পাওয়ার পর থেকেই ফোনে মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন অভিনেতা। সব রকম আইনি সাহায্যও মেয়েকে করার কথা দেন সইফ আলি খান।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, এই কথোপকথনের সময়ই সইফ ও অমৃতার সম্পর্কের তিক্ততা চরমে পৌঁছায়। যাবতীয় দোষ প্রাক্তন স্ত্রীর ঘাড়েই চাপান সইফ। পালটা কথা শোনান অমৃতাও। এরপরেই নাকি করিনার সঙ্গে দিল্লি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অভিনেতা।
প্রসঙ্গত, সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, NCBর জেরায় সারা জানান ২০১৮ তে কেদারনাথ ছবির শুটিংয়ের সময় সুশান্তের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক শুরু হয়। এমনকি অভিনেতার সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কও শুরু করেছিলেন তিনি। NCBর জেরায় সারা বলেন, “২০১৮ সালে কেদারনাথ ছবির শুটিংয়ের সময় থেকে আমার ও সুশান্তের মধ্যে সম্পর্কের সূত্রপাত। ছবির শুটিং শেষ হওয়ার পর আমি সুশান্তের সঙ্গে ওর কেপ্রি হাউসের বাড়িতে থাকতেও গিয়েছিলাম।”
আরও জানা গিয়েছে, সারা বলেছেন তাঁরা ৫ দিনের জন্য থাইল্যান্ডের একটি দ্বীপেও ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখানে পার্টি করেন তাঁরা। NCBর জেরায় সারা ফাঁস করেন, সুশান্ত মাদক সেবন করতেন।
তবে এটা স্পষ্ট হয়নি যে সারার সঙ্গে সম্পর্কের আগে থেকেই সুশান্ত মাদক সেবন করতেন নাকি তখন থেকেই এই অভ্যাস শুরু করেন তিনি। তবে নিজের মাদক নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন সারা। তিনি দাবি করেছেন, সুশান্তের সঙ্গে পার্টি করলেও মাদক তিনি কখনো গ্রহণ করেননি।