বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরু পাচার মামলায় বর্তমানে দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। একই মামলায় সেখানে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনও (Saigal Hossein)। ২০২২ সালে মহম্মদবাজারে বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় সায়গল জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যেই ফের কেষ্ট গড় বীরভূম থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক।
জানা যাচ্ছে, বীরভূমের নলহাটি (Birbhum Nalhati) থেকে মোট ২১ হাজার ডিটোনেটর, ২৪ হাজার জিলেটিন স্টিক এবং ১৪ বস্তা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। পুলিশ সূত্রে খবর, নলহাটির পরিত্যক্ত পাথর ক্রাশারের অফিসে হানা দিয়েই এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকের হদিস মিলেছে।
সুত্রের খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে রামপুরহাট পুলিসের একটি টিম চন্দননগর গ্রামের পরিত্যক্ত পাথর ক্রাশারের অফিসে হানা দেয়। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন রামপুরহাটের এসডিপিও ধীমান মিত্র। সেই পরিত্যক্ত অফিস থেকেই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকের হদিশ মেলে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই মুখোমুখি বৈঠকে মমতা-মোদী! তবে একা নয়, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যাচ্ছেন অভিষেকও
প্রসঙ্গত, ২০২২ বীরভূমের মহম্মদবাজারে জিলেটিন স্টিক-সহ ডিটনেটর উদ্ধারের তদন্তে তিহাড় জেলে গিয়ে একসময়ের অনুব্রত ছায়াসঙ্গী সায়গল হোসেনকে জেরা করা শুরু করেছে এনআইএ (NIA)। কলকাতা থেকে রাজধানীতে গিয়ে সায়গলকে ম্যারাথন জেরা জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার।
এমনিতেই, কয়লা পাচার ও গরু পাচার মামলায় নাম জড়িয়েছে সায়গলের। এরই মধ্যে জিলেটিন স্টিক উদ্ধার মামলাতেও এনআইএ এর নজরে সায়গল।
এক দিকে যখন মহম্মদবাজারকাণ্ডে তিহাড়ে জেরার মুখে পড়ছে সায়গল, সেই সময়ই নলহাটিতে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল।