দাড়ি বাড়ছে কেন? সায়গলকে প্রশ্ন বিচারকের! পাল্টা উত্তরও দিলেন অনুব্রতর দেহরক্ষী

বাংলাহান্ট ডেস্ক : গরু পাচারকাণ্ডে (Cow Smuggling Case) এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সহগল হোসেন। এই মুহুর্তে তাঁর ঠিকানা দিল্লির তিহাড় জেল। পেশায় পুলিস সহগল এক সময় অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) বিশ্বস্ত দেহরক্ষী ছিলেন। শুক্রবার সেখান থেকেই ভিডিয়ো কনফারেন্সের সাহায্যে সিবিআইয়ের মামলায় আসানসোলের সিবিআই আদালতে তাঁকে হাজির করানো হয়। জানা যাচ্ছে, এই শুনানি চলার সময়ই সরাসরি সহগলের সঙ্গে কথা বললেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। তিনি বেশ সাধারণ প্রশ্ন করেন সহগলকে। জানতে চান জেলের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কেও খোঁজখবর নেনে বিচারপতি।। সেই সঙ্গে বিচারক সহগলকে এও জানান, তাঁর আইনজীবী কোনও জামিনের আবেদন করেননি।

গরু পাচার মামলায় গত ৯ জুন সহগলকে তলব করে টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করে ইডি। এর পর সহগলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। দিল্লির আদালত অনুব্রতের দেহরক্ষীকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেয়। তার পর থেকে তিহাড় জেলেই বন্দি রয়েছেন অনুব্রতর বিশ্বস্ত সহচর সহগল।

জানা যাচ্ছে, এদিনের ভিডিও কনফারেন্সে বিচারক জানতে চান সহগল দাড়ি কাটান নি কেন? নরম ভাবে সহগল বলেন, ‘খুব ঠান্ডা সাহেব। তাই কাটানো হয়নি।’ ঠান্ডার কথা শুনেই বিচারকের পরের প্রশ্ন, ‘ঠান্ডা কেন? কম্বল দেওয়া হয় না?’ এর উত্তরে সহগল জানান, ‘কম্বল দেওয়া হয়। কিন্তু ঠান্ডা খুব বেশি।’ এর পর বিচারপতি রাজেশ চক্রবর্তী তাঁকে জানান, ‘কেউ তোমার জামিনের আবেদন করেননি। পরবর্তী শুনানি ২২ ডিসেম্বর।’ এটা শুনেই সহগল হোসেন নিস্পৃহ ভাবে বলেন ‘ঠিক আছে সাহেব’।

মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা সায়গল হোসেন দীর্ঘদিন ধরেই বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর কাজ করেছেন। সেই সময় অনুব্রতর হয়ে তিনি গরু পাচারের টাকা নিতেন বলে অভিযোগ ওঠে। সিবিআই তাদের চার্জশিটেও এ কথা উল্লেখ করেছিল। কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন ধরে বীরভূমে থাকলেও মুর্শিদাবাদে রয়েছে সায়গলের পেল্লায় বাড়ি। একাধিক জমি কিনেছিলেন বলেও জানা যায়। এই টাকার সঙ্গে সম্পত্তির সঙ্গে গরু পাচারের টাকার যোগ আছে কি না, তা জানতে মরিয়া হয়ে ওঠেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর