বাংলাহান্ট ডেস্ক: একজন বলিউডের ভাইজান, অন্যজন টলিউডের ‘ইন্ডাস্ট্রি’। সলমন খান (Salman Khan) এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee) একসঙ্গে কোনোদিন কাজ না করলেও তাঁদের মধ্যে যে এত বড় একটা সংযোগ সূত্র রয়েছে তা জানতেন না প্রায় কেউই। গোটা অভিনয় কেরিয়ারটাই বাংলা ছবির জন্য উৎসর্গ করেছেন বুম্বাদা। হিন্দি ছবি তাঁর হাতে গোনা। কিন্তু তাঁর জন্যই যে সলমন খান বলিউডে সুযোগ পান তা এতদিন জানা ছিল না কারোরই।
অভিনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে প্রসেনজিৎ। তিনি অবশ্য হিন্দি ছবিতেই বেশি কাজ করেছেন। কিন্তু পুত্র বুম্বার প্রথম পছন্দ ছিল বাংলা ইন্ডাস্ট্রি। সেই ছোট্ট বেলায় ‘ছোট্ট জিজ্ঞাসা’ ছবির হাত ধরে শিশুশিল্পী হিসাবে অভিনয়ে পা রেখেছিলেন প্রসেনজিৎ। নায়ক হিসাবে তাঁর প্রথম ছবি ‘অমর সঙ্গী’ যা মুক্তি পেতে না পেতেই ব্লকবাস্টার হিট হয়েছিল।
কিন্তু সম্প্রতি জানা গেল, টলিউডে পসার জমানোর সঙ্গে সঙ্গে বলিউডেরও সুপারস্টার হতে পারতেন প্রসেনজিৎ। কিন্তু সে সুযোগ তিনি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। আর তাঁর ছেড়ে দেওয়া সুযোগ নিয়েই বলিউডের সুপারস্টার হয়ে বসেন সলমন। দীর্ঘ ৩০ বছর পর সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে একথা প্রথম ফাঁস করেন প্রসেনজিৎ।
‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’, এই ছবির মাধ্যমেই বলিউডে সবথেকে বড় ব্রেকটা পান সলমন। জানলে অবাক হবেন, এই ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব প্রথম গিয়েছিল প্রসেনজিতের কাছেই। সে সময়ে ‘অমর সঙ্গী’ ছবির হাত ধরে নায়ক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন তিনি। তারপরে ১৯৯০ সালে বলিউডে ডেভিড ধাওয়ানের পরিচালনায় ‘আঁধিয়া’ ছবিতেও কাজ করেছেন।
তখনি আসে ম্যায়নে পেয়ার কিয়া ছবির প্রস্তাব। কিন্তু ইচ্ছা থাকলেও সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হন প্রসেনজিৎ। কারণ তাঁর হাতে তখন পরপর ছবি ছিল। সব ডেট ব্লক হয়ে ছিল। প্রসেনজিৎ না করে দেওয়ায় সেই ছবির প্রস্তাব যায় সলমনের কাছে। বাকিটা সকলেরই জানা। কিন্তু প্রসেনজিৎ হ্যাঁ বললে আজ ইতিহাসটা অন্য রকম হতে পারত।
যদিও এ নিয়ে এখন আর আক্ষেপ নেই প্রসেনজিতের। তিনি জানান, পরিচালক সুরজ বরজাতিয়া এবং ভাগ্যশ্রীর সঙ্গে তাঁর এখনো যোগাযোগ রয়েছে। টলিউডের ‘ইন্ডাস্ট্রি’ তকমা পেয়েছেন তিনি। বলিউডেও তাঁর জনপ্রিয়তা কম নয়। তাই অতীত নিয়ে পড়ে থাকতে চান না প্রসেনজিৎ।